মেহেরপুরে ডামি বন্দুকের উত্তেজনা

মেহেরপুরে ডামি বন্দুকের উত্তেজনা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ৩৪ দিন বাকি। ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসবে মাঠের উত্তেজনা ততই বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা প্রার্থীদের অভিযোগের পরিমাণও, এটাই স্বাভাবিক। তবে ভোটের মাঠের অধিকাংশ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় মুখোমুখি অবস্থায় গেলেই। কিন্তু মেহেরপুরে এই উত্তেজনা এবার ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণা শুরুর অনেক আগেই।

মূলত বাকযুদ্ধের সূত্রপাত হয় আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগের দিন মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর একটি বক্তব্য, এবং পরদিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করার পর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যেয়ে সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নানের প্রতি উত্তরের মাধ্যমে। ডামি বন্দুকের বাকযুদ্ধ এখন আর শুধু দুই প্রার্থীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তাদের সমর্থক, সাধারণ ভোটার ও চায়ের দোকানেও ছড়িয়ে পড়েছে বাকযুদ্ধ।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে সম্প্রতির জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের করা একটি মন্তব্যের উত্তরে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক এমপি প্রফেসর আব্দুল মান্নান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে নাবালক এবং ময়মনসিংহের ভাষায় গেদা আখ্যায়িত করে বলেন, ‘একটা নাবালকের কথার উত্তরে আমি বলবো,আমার বন্ধুকের নল নেই সত্য। কিন্তু আমার বন্ধুকে ফুল ও ভালোবাসা আছে। আমি বন্দুকের গুলি ছুড়তে আসিনি। আমি প্রেম ও ভালোবাসা দিয়ে জনগণের মন জয় করে নির্বাচনে জিততে এসেছি।’

অপরদিকে গত ২৯ নভেম্বর বুধবার দুপুরে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনর পর সাংবাদিকদের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী মানেই আওয়ামী লীগের ডামি ক্যান্ডিডট, যার নলও নাই, গুলিও নাই। সেটি ফুটবেওনা, কারো ক্ষতিও করবে না। একটি অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচনের জন্যই তাদেরকে দলের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে রাখা হয়েছে। যাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ বিজয়ী না হয়।’

উল্লেখ্য, মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসন ১১ টি ইউনিয়ন, ১ টি পৌরসভা ও ২ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩৭ জন, এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ্য ৪৯ হাজার ৫৫৬ জন ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৮১ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোট হবে ৭ জানুয়ারি। রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিলো ৩০ নভেম্বর। মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১৮ ডিসেম্বর। এবং এদিন থেকেই প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারবেন। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ হবে ৫ জানুয়ারি সকালে।