মেহেরপুরে ডা. বিপুল কুমারের নামে আদালতে মামলা

মেহেরপুর এ্যাপোলো নার্সিং হোমের স্বতাধিকারী ডা. বিপুল কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ভুল অপরেশন অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ১ আগষ্ট মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আমলী আদালতে ২৬৯/৩২৬/৩০৭ ও ৫০৬(২) পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন মুজিবনগর উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামের মোতাহার আলীর ছেলে আলতাব হোসেন।

ডা. বিপুল কুমার বিশ্বাস বর্তমানে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

আলতাব হোসেন তার আবেদনে বলেন, গত ১৪/০৬/২২ ইং তারিখে তার সন্তান সম্ভাবা বোন মোছা: সামসুন্নাহার মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে যান।

তাকে দেখে ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করেন। ওই সময় এ্যাপেলো নার্সিং হোমের এক অপরচিত লোক (দালাল) ফুঁসলিয়ে এ্যাপোলো নার্সিং হোমে ভর্তি করেন।

সেখানে ডা. বিপুল কুমার বিশ্বাস শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সিজারিয়ান অপারেশন করার পরামর্শ দেন। তার পরামর্শে ডা. বিপুল কুমারের তত্বাবধানে ওই নার্সিং হোমেই সিজারিয়ান অপারেশন করেন তিনি। অপারেশন করে পেট থেকে বাচ্চা বের করে আনেন।

ওই সময় তারা তাড়াহুড়ো করে ছুরি কাঁচি দিয়ে অপরেশন করতে গিয়ে প্রসাবের নাড়িটি কেটে ফেলে। পরে সেভাবেই পেট সেলাই করে দেন। পরে আমার বোন পানি খেলেই তা বের হয়ে যায়।

বিষয়টি ডা. বিপুল কুমারের স্বরণাপন্ন হলে ভুল চিকিৎসার জন্য ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন। তিনি সিজারের যাবতীয় টাকা ফেরৎ প্রদানসহ তার চিকিৎসার সব দায়ীত্ব বহন করার আশ্বাস প্রদান করেন।

এর মধ্যে রোগীকে নতুন করে চিকিৎসা করাতে গিয়ে পরিবারের প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। বোনের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বিষয়টি জানার পরেও সে এখন আর কোনো প্রকার দায়িত্ব নেবেন না বলে জানিয়েছেন।

ডা. বিপুল কুমারের অদক্ষতা ও অবহেলায় বোন মোছা: সামসুন্নাহার এখন মৃত্যুর মুখোমুখি। তার কাছে বিষয়টি জানালে সে এখন মামলা না করার জন্য হুমকী দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে ডা.বিপুল কুমার মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানান, প্রায় তিন মাস আগে ওই নামে একজন রোগীর অপারেশন হয়েছে। তবে, প্রসাবনালী কেটে গেছে কিনা আমার জানা নেই।

তারপরেও আমি খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাতে পারবো। তার নামে মামলা হয়েছে কিনা সেটাও জানেনা বলে জানান ডা. বিপুল কুমার।