মেহেরপুরে নিত্যপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস

মেহেরপুরে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে চাল, ডাল, তেল, চিনি ও আটার দাম। নিম্ন আয়ের মানুষদের এই বাজার দরে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম গত মাসের থেকে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে গেছে।

মেহেরপুরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের চালের দামই কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চালের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। বেড়েছে মাঝারি ও ছোট দানার মসুর ডালের দাম। আটার দামও কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বাড়তে দেখা যায়। আর চিনির দাম পাইকারি বাজারে কেজিতে ৬ টাকা বেড়ে ৭৯ টাকা হয়েছে।

বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, এক মাস আগে খুচরা বাজারে মিনিকেট চালের দাম ছিল ৬০ টাকা কেজি, আজ হয়েছে ৬৬ টাকা। বাসমতি চালের দাম ছিল প্রতি কেজি ৬৮ টাকা, এখন ৭৪ টাকা। মোটা চাল প্রতি কেজি ৩৮ থেকে ৪৪ টাকা হয়েছে।

এক মাস আগে খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৭০ থেকে ১৮২ টাকা লিটার, বর্তমানে লিটার প্রতি দাম বেড়ে ২০৫ থেকে ২১০ টাকা হয়েছে। আগের মাসে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকার পাম সুপার তেল দাম বেড়ে ১৬৫ থেকে ১৭২ টাকা হয়েছে।
খোলা চিনির দাম এখন ৭৯ থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। প্রতি কেজি মসুরির ডাল ১০ থেকে ১২ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২২ টাকাই। মটরের ডাল কেজিতে ২০ টাকা বেশি দরে বর্তমানে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার গুলোতে ঘুরে দেখা যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে লবণ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা কেজি দরে, ৫০ গ্রাম হলুদ গুঁড়া ২৮ থেকে ৩০ টাকা এবং ১ শত গ্রাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ শত গ্রাম ঝালের বাজার দর ৬০ থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে। এছাড়াও শুকনো খাবার মুড়ির দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে এবং চিড়া কেজিতে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

মেহেরপুরের হোটেল বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা মোঃ মানিক বলেন, আমাদের আয় কম, কিন্তু জিনিস পত্রের খরচ অনেক। আয়ের সঙ্গে ব্যয় মেলাতে পারছি না। জিনিসপাতির দাম তো বাড়তেই আছে। সামনে যে কি হবে সেটাই বুঝতে পারছি না।

মোঃ জুয়েল আহমেদ বলেন, দিন দিন সব কিছুই দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে যাচ্ছে। এই ভাবে চলতে থাকলে আমরা সংসার কিভাবে চালাবো? যে ময়দা আগে ৩০ টাকা ছিলো এখন তা ৪১ থেকে ৫০ টাকাই চলে গেছে। আর চাল,ডাল,তেল দাম তো বাড়ছেই।

মুদি ব্যবসায়ী অন্তর সাহা জানান, চালের দাম বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ২০০ টাকা বেড়েছে। চালের আমদানি কোনো কমতি নেই, টাকা দিলেই চাল পাওয়া যায়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা জিনিস আটকিয়ে রেখে দাম বাড়াচ্ছে।