মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৫

মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৫

মেহেরপুর ও গাংনী থানা পুলিশের ১২ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলা ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ১৫ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

এদের মধ্যে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ ১০ জন আসামি ও গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে ৫ জন আসামি।
গতকাল শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগতরাতে মেহেরপুর সদর থানার সহকারি উপপরিদর্শক (এএ্সআই) শাকিল খান ও গাংনী থানা পুলিশের পৃথক টিম অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।

মেহেরপুর সদর থানায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিআর ৪১৫/১২ নং মামলায় ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত রাজনগর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে সাজেদুর রহমান (৩৫), জিআর ৯৩/১৯ নং মামলার আসামি কুতুবপুর গ্রামের মহাম্মদ আলীর ছেলে সবুজ (৪০), নারী ও শিশু নির্যাতন ৯৯/১৯ নং মামলার আসামি ময়ামারি গ্রামের মিরু মালিথার ছেলে জমির উদ্দিন (৪৫), একই মামলার আসামি আব্দুল মালেকের ছেলে আরিফ হোসেন (৩০), সিআর ২৩৭/২৩ নং মামলার আসামি কোলা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আল আমিন (৩২), সিআর ৩৮২/২৩ নং মামলার আসামি মেহেরপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডপাড়ার রিফাজের ছেলে মো: খুরশিদ (৩৪), মহি উদ্দিনের স্ত্রী শাহিনা খাতুন (৫০), ছেলে ইলিয়াস হোসেন (৩০), সিআর ৮৪৪/২৩ মামলার আসামি শহরের মল্লিকপাড়া এলাকার মৃত মজিদের ছেলে মহিউদ্দীন (৫০) ও শহরের নতুনপাড়ার বাবর আলীর ছেলে ডাবলু হোসেন (৩৬)।

এছাড়া গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৫ আসামিদের মধ্যে রয়েছে সিআর ৩৮৩/২৩ নং মামলার আসামি গাঁড়াডোব গ্রামের সাহিন আলীর স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন সিআর পারিবারিক ৪০/২০ নং মামলার আসামি বাওট গ্রামের ইয়ারুল ইসলামের ছেলে খাইরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ কোর্টের সিআর ১৯৭/২৩ নং মামলার আসামি কুমারীডাঙ্গা গ্রামের নবিছুদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন, জিআর ১৪৭/২৩ নং মামলার আসামি গাড়াডোব কাছারীপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে সাহাবুদ্দিন (৩৪) ও ফসল তছরুপ করার অভিযোগে গাংনী থানার ১৪(৯)২৩ মামলার আসামি বেতবাড়িয়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে আলাইহিম হোসেন (৪৫)।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুর রাজ্জাক এসব গ্রেফতার অভিযানের নেতৃত্ব দেন। সংশ্লিষ্ট থানা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আজ রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে নিলে তাদের জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক।