মেহেরপুরে পৃথক তিন মামলায় মোঃ লিটনকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, মোঃ মোতালেবকে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং মোছাঃ ময়না খাতুনকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। অনাদায়ে আরও ৩০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী এ আদেশ দেন।
প্রথম মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামীদের সঙ্গে বাদীদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন বাদী ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ওজু করতে ঘরের বাইরে বের হলে আসামিরা ওত পেতে থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বাদীর ডাকচিৎকারে তার স্বামী বাইরে এলে আসামিরা ধারালো ও ভোতা অস্ত্র নিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। ১নং আসামী আধলা ইট দিয়ে বাদীর স্বামীর মাথায় আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে, ৩নং আসামী লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং ২নং আসামী গলা টিপে হত্যার চেষ্টা চালায়। বাদী ও তার মাতা ঠেকাতে গেলে তাদেরও মারধর করে আহত করা হয়।
দ্বিতীয় মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোঃ আকবর আলী মোটরসাইকেলে করে দারিয়াপুর বাজার এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামিরা তার গতিরোধ করে। আসামী লিটন লোহার হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মাথার হাড় ভেঙে যায় ও গুরুতর জখম হয়। পরে অন্যান্য আসামিরা লাঠি ও রড দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
তৃতীয় মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে আসামীগণ বাদীর ওপর আক্রমণ চালায়। কিল-ঘুষি, বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বাদীকে গুরুতর আহত করে। বাদীর চিৎকারে তার দাদা এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার নথি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে উপরোক্ত রায় দেন। রায় ঘোষনার পরে আসামীদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।