
এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের প্রচারসামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সেই সময়সীমা শেষ হলেও মেহেরপুরের অনেক এলাকায় এখনো প্রচারসামগ্রী অপসারণ করা হয়নি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার আমীর ও মনোনীত প্রার্থী তাজউদ্দিন খান মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থানে তাঁর প্রচারসামগ্রী সরিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখালেও সব এলাকায় নির্দেশনা পুরোপুরি মানা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সময়সীমা পার হয়ে গেলেও শহরের কাথুলী রোড, শামসুজ্জোহা পার্ক, হোটেল বাজার ও বড় বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এখনও পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ঝুলে আছে। শহরের প্রধান সড়ক ও অলিগলিতেও প্রচারসামগ্রী চোখে পড়ছে। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হলেও পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
প্রচারসামগ্রী অপসারণের বিষয়ে প্রার্থীদের মধ্যে দায়সারা মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে কর্মীদের নিজ উদ্যোগে পোস্টার সরানোর নির্দেশ দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছেন প্রার্থীরা।
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, মেহেরপুরের কমিউনিটি সেন্টার, শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কের গেট, পৌর কবরস্থানের সামনে, বড় বাজার, হোটেল বাজার, খামারবাড়ির সামনে, কাথুলী রোড ও ফৌজদারি পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার আমীর তাজউদ্দিন খানের ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন ঝুলতে দেখা গেছে।
এদিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদ অরুনের অন্য কোনো এলাকায় কোনো ধরনের ব্যানার বা ফেস্টুন চোখে পড়েনি। তবে শহরের কাথুলী রোডের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর প্রচারণার স্টিকার দেখা গেছে।
এবিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাইরুল ইসলাম জানান, সব জায়গাতেই নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা। এখনো যদি কোথাও প্রচারসামগ্রী থেকে থাকে, আমাদের আচরণবিধি ম্যাজিস্ট্রেট আছেন তাঁকে বিষয়টি জানানো হবে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


