
মেহেরপুরে প্রতারণা মামলায় গোভিপুর গ্রামের প্রতারক হাবিবুর রহমানকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমানকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। তিনি মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভিপুর গ্রামের মৃত আয়নাল হকের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মেহেরপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বোসপাড়ার আসিফ ইকবাল ২০২৩ সালে ব্যবসায়িক লেনদেনে প্রতারণার অভিযোগে হাবিবুর রহমানের জামাতা জায়েদ হোসেন জিম ও মেহেরপুর বড়বাজারের “মায়ের দোয়া বস্ত্রালয় অ্যান্ড গার্মেন্টস”-এর স্বত্বাধিকারী সোহেল রানাকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর সিআর ৭০৪/২০২৩।
বাদীপক্ষের অভিযোগে বলা হয়, ডিলারশিপ ব্যবসা পরিচালনার জন্য আসিফ ইকবাল জায়েদ হোসেন জিমকে ১৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ হিসেবে প্রদান করেন। পরবর্তীতে লভ্যাংশ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে বিনিয়োগের টাকা ফেরত চাইলে তিনি প্রতারণার শিকার হন। পরে আসামির জামাতার পক্ষে জিম্মাদার হিসেবে আসামির শ্বশুর হাবিবুর রহমান বাদীর সঙ্গে একটি আপোষনামা সম্পন্ন করেন এবং ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে তিন মাসের মধ্যে পাওনা টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করেন।
কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তিনি টাকা পরিশোধ না করে নিজের নামীয় জনতা ব্যাংকের একটি চেক প্রদান করেন। ব্যাংকে চেকটি জমা দিলে স্বাক্ষর অমিল ও অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে তা ডিজঅনার হয় বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়।
মামলার তদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামি হাবিবুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। তার বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের আরেকটি মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান।
উল্লেখ্য, একই আদালত গত ২৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার অপর দুই আসামি—হাবিবুর রহমানের জামাতা জায়েদ হোসেন জিমকে দুই বছর ও “মায়ের দোয়া বস্ত্রালয় অ্যান্ড গার্মেন্টস”-এর স্বত্বাধিকারী সোহেল রানাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।