
মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য নয়, মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে হবে। আর এই দায়িত্ব নিয়েছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। সকলের কাছে আমরা স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেব ইনশাআল্লাহ। প্রতিটি মানুষের যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা আমরা করব।
ইতিমধ্যেই ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা চালু করা হয়েছে। আশা করছি যে কোনো স্বাস্থ্যসেবা আপনারা সেখানে গেলে পাবেন। বিএনপির ৩১ দফার আলোকে ২৬ নম্বর পয়েন্টে যে কথা বলা রয়েছে সবার জন্যই স্বাস্থ্য এবং মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে হবে।
আজ শুক্রবার সকালে মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসকল কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো যেগুলো স্থাপন করেছিলেন জিয়াউর রহমান, পরবর্তীতে পুনরায় সেগুলো স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এই ১৭ বছরে সেই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সমস্ত ক্লিনিকগুলো হয়ে গিয়েছিল পলিটিকাল আশ্রয়কেন্দ্র। সেগুলো কোনো স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে পড়ে না।
এই নির্বাচনের আগে আমরা ২০ থেকে ৩০টা মেডিকেল ক্যাম্প করব। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে আমাদের জেলা বিএনপির সকল সদস্য আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আনছারুল হক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আলমগীর খান ছাতু, আবু সালেহ নাসিম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুমানা আহম্মেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মোহাম্মদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেন, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমুল হোসেন মিন্টু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা প্রমুখ।
জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান আরো জানান, আজ দিনব্যাপী মেহেরপুরের অসহায় মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে, পাশাপাশি তাদেরকে বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করা হবে। এছাড়াও প্রতি মাসে এই মেডিক্যাল ক্যাম্প আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিরা জানান চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ পেয়ে খুশি তারা।