মেহেরপুরে বাদিকে ফাঁসাতে বিবাদীর পাল্টা মামলা!

সড়ক দুর্ঘটনাকে হামলা সাজিয়ে বাদিকে ফাঁসাতে পাল্টা মামলা করেছেন রোমানুজ্জামান লিজন। সড়ক দুর্ঘটনাটি গত ২ নভেম্বর ঘটলেও মামলা সাজানোর ক্ষেত্রে সময় লাগায় ৬ নভেম্বর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আর এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার ইমরানকে।
হত্যা চেষ্টা মামলার ২নং আসামী রোমানুজ্জামান লিজন বাদি হয়ে তুষারকে ফাঁসাতে মেহেরপুর সদর থানায় পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন।

রোমানুজ্জামান লিজন মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।
গত ২ নভেম্ববর মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর মাঠের রাস্তায় সুজনের ইটভাটার কাছে মটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে তরিকুল ও লিজন মোড় ঘোরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে যায়।

পরে তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মেহেরপুর শহরের নতুন পাড়ার রাজিব এসব কথা বলেন। এ ঘটনায় তরিকুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।

এই দুর্ঘটনাটিকে প্রতিশোধ হিসেবে নিতে তারা তুষার সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হামলা করার অভিযোগ তোলে এবং লিজন বাদি হয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে তুষার, মহিরুল ইসলাম, সুজন আলী, শামীম রেজার নামে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ ঘটনায় তুষার ইমরান বলেন, গত ২ নভেম্বর আমি মুজিবনগর সমবায় অফিসের একটি অনুষ্ঠানে ছিলাম যায় সনদ আমার কাছে সংরক্ষিত। আমাকে ফাসানোর জন্য তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। কারণ গত ৩০-০৯-০১৯ তারিখে মুজিবনগর ডিগ্রি কলেজের সামনে আশিকের নেতৃত্বে লিজন সহ বেশ কয়েকজন আমাকে হত্যা চেষ্টা করে।

 

এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। ঐ মামলায় আসামিরা জেল খেটে জামিনে মুক্তি পায়। তারই প্রতিশোধ নিতে লিজন আমাকে সহ ৪জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে লিজন মামলায় উল্লেখ করেছেন , গত ০২ নভেম্বর মেহেরপুর সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে মেহেরপুর থেকে বাড়ি ফেরার পথে আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে তরিকুল সহ আমি মারাত্বক জখম হই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মেহেরপুর সদর থানার এসআই আহসান হাবিব বলেন, লিজন বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছে। এ ঘটনা সত্য না মিথ্যা সেটি তদন্ত শেষে বলা যাবে। তবে মামলাটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে তদন্ত শেষ না করে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা যাবে না।

-নিজস্ব প্রতিনিধি