পুরোদমে চলছে বিয়ের আয়োজন, রান্নার কাজ প্রায় শেষ, বরযাত্রী কেবল আসতে দেরি, বরযাত্রী আসার আগেই চলছে রং মাখামাখি এরই মাঝে উপস্থিত হলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম। কারণ অন্য কিছু নয়, সবেমাত্র ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী, তাই বাদ সাধলেন বিয়ের আয়োজন বন্ধ করতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমানসহ অন্যান্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
শহরে পুরাতন বাস স্ট্যান্ড পাড়ার মফিজুল ইসলামের মেয়ে ও মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর সাথে স্টেডিয়াম পাড়ার মহাসিন আলীর ছেলে গার্মেন্টস কর্মীর বিয়ে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বিয়ের আয়োজন প্রায় সম্পন্ন, শুধু বর আসতে বাকি ছিল। ততক্ষণে খবর পৌঁছে যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল ইসলামের কানে, তিনি কাল বিলম্ব না করে সহকর্মীসহ অন্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে হাজির হলেন বিয়ে বাড়িতে। মুহূর্তের মধ্যে বিয়ে বাড়ির চিত্রটা পাল্টে যায়। ততক্ষণে বিয়ে বাড়িতেও জমে গেছে শতাধিক উৎসুক মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ সময় বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে অভিভাবকদের জানানোর পর তারাও বিয়ে বন্ধ করতে সম্মত হন। এবং মুচলেকা নিয়ে বিয়েটি শেষ পর্যন্ত বন্ধ করে দেন।