
মেহেরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দুপক্ষের সমর্থকদের বাকবিতন্ডার মাঝে পড়ে মফেজ আলী নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহত মফেজ আলী মেহেরপুর সদর উপজেলার কালিগাংনী গ্রামের ভিটাপাড়া এলাকার জামাল আলীর ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে কালিগাংনী গ্রামের ঘোনারমোড় নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনার জের ধরে পুলিশ এবং র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২) ঘটনাস্থল থেকে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ৩ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছেন। মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দীন, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তারা হলেন, শুকুর আলীর ছেলে প্রবাস ফেরত জিনারুল ইসলাম, সাবদার আলী ও তার ছেলে হাসানুজ্জামান।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় একটি চা দোকানে স্থানীয় ইউপি সদস্য কাসেম আলী ও বিএনপি কর্মী সাবদার আলীর মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কিল-ঘুষি শুরু হয়। এসময় নিহত মফেজও যুক্ত হয়। এসময় সাবদার আলী তার বুকে লাথি মারলে মাটিতে পড়ে যায় সে। পরে তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দীনের নেতৃত্বে থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছান। পরে সাবদার আলী বাড়ির প্রাচীর টপকে ভিতরে ঢুকে সাবদার আলী তার ছেলে হাসানুজ্জামান ও মালেশিয়া প্রবাস ফেরত জিনারুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেন।
তবে, নিহতের পিতা জামাল আলী পুলিশকে বলেন, আমার ছেলেকে কেউ আঘাত করেনি। সে কিল-ঘুষির মাঝে পড়ে মারা গেছে।
ওসি মেজবাহ উদ্দীন বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত আমরা একজনকে হেফাজতে নিয়েছি। এছাড়া লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া অপ্রিতিকর কোনো ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও র্যাব গ্রামে রয়েছে।
উল্লেখ্য, নিহত মফেজ মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন সমর্থক ও ইউপি সদস্য কাসেম আলী সমর্থক।