
মেহেরপুর কাঁচাবাজারে কয়েকদিন স্বস্তির পর আবারও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে শীতকালীন সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কিছু সবজি ও নিত্যপণ্যের দামে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কম-বেশি দেখা গেছে।
গত শুক্রবার মেহেরপুর কাঁচাবাজার পরিদর্শন করে প্রত্যেকটা সবজি, মাছ, মাংস ও মুরগি বাজারে দাম ওঠানামা লক্ষ করা গিয়েছে।
পাইকারী বাজারে আলু ১৮ টাকা থেকে বেড়ে ২১ টাকা, পেয়াজ ও রসুন ৯৫, ৬০ টাকায় স্থিতিশীল। কাঁচামরিচ ১১০ টাকা থেকে কমে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আদা ৩০ টাকা কমে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেগুন ৬০ টাকায় অপরিবর্তিত, সিম ৮০ টাকা থেকে কমে ৭০ , পটলে ৫ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা, পেঁপে ও শশা ১৫ ও ৬০ টাকায় স্থিতিশীল থেকে বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালাংশাক ও মূলার দাম ওঠানাম রয়েছে। ফুলকপি ৪০, বাঁধাকপি ৩০ ও মূলা ২৫ টাকা অপরিবর্তিত এবং পালাংশাক ৫০ থেকে কমে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে আলু ২২ টাকা থেকে বেড়ে ২৫ টাকা, পেয়াজ ১১০ টাকায় স্থিতিশীল, রসুনে ২০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায়। কাঁচামরিচ ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আদা ২২০ টাকা ৫০ টাকা কমে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেগুন ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকায়, সিম ৯০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকায়, পটলে ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, পেঁপে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা, শশা ৮০ টাকায় স্থিতিশীল থেকে বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি ৬০ থেকে বেড়ে ৭০ টাকায়, বাঁধাকপি ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায়, পালাংশাক ৫০ ও মূলা ৩০ টাকা অপরিবর্তিত থেকে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে রুই ৩০০, তেলাপিয়া ১৬০, পাঙাস ১৫০ , সিলভার ২০০ , স্বরপুটি ৫০০, জিওল ৪০০, ইলিশ ৭০০-১২০০, চিংড়ী ৭০০, গলদা ৮০০।
মুরগীর বাজরে ব্রয়লার মুরগী ১৭০ টাকা, সোনালী মুরগী ২৭০ এবং লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ছাগলের মাংস ১১০০ টাকায় এবং গরুর মাংস সর্বদা ৭৫০ টাকায় অপরিবর্তিত।
সবজি বিক্রেতা মহির বলেন, “দাম বেশি হওয়ায় লোকজন কিনতে আসছে কম, ফলে বিক্রিও কমে গেছে আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না।”
সবজি বিক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, “ আগের সপ্তাহ থেকে কাচামালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। আগের সপ্তাহে বেশি দামে বেচা-কেনা করতে হয়েছ একসপ্তাহে তার থেকেও ও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।“
ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য এভাবে প্রতিদিন দাম ওঠানামা খুবই কষ্টকর এবং সংসার চালানো হুমকির মুখে।
সবজি ক্রেতা গোলাপ রব্বানী শুভ বলেন, “গত সপ্তাহের থেকে আজকে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম অতিরিক্ত বেশি। এভাবে চলতে থাকলে আমার মতো সাধারণ জনগণ তো চলতে পারবে না।“
আরেক ক্রেতা নজমুল জানান, “যা টাকা হাতে নিয়ে আসি, তাতে সবকিছু কেনা সম্ভব হয় না। আগের চেয়ে বাজারে খরচ দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”
তহ-বাজার সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফি বলেন, কাঁচামাল আমদানি খুবই কম আমদানি নাই বললেই চলে যার প্রেক্ষিতে দু-একটা মালের দাম একটু বেশি। কারণ আমদানি একেবারেই নাই। আমি একজন আরবদার প্রত্যেকদিন আমার ঘরে ৫০০ থেকে এক-দুই হাজার কেজি কাঁচামাল আসে আজকে মনে হয় সবমিলিয়ে ৫০-৬০ কেজি কাঁচামাল আসছে। যার কারণে পটলটা আজকে বেশি দামে বিক্রি হলো।
তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে কিছু সবজির বাজার দাম তুলনামূলক বেশি। কাঁচামালের দাম সাধারণত আমদানি রপ্তানির উপর নির্ভর করে। আমদানি স্বাভাবিক থাকলে দাম স্বাভাবিক থাকে। বর্তমানে কিছু কাচাঁমালের আমদানি স্বাভাবিক না থাকায় সেগুলোর দাম অস্বাভাবিক ও দাম বেশি।