মেহেরপুরের গাংনীতে কবুতর চুরির মিথ্যা অপবাদে জুনায়েদ আহমেদ নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। মাদ্রাসার শিক্ষক জুবায়ের আহমেদ শিশুটিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। আহত জুনায়েদ বর্তমানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে গাংনীর পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের ফজলুল উলুম ক্বওমী মাদরাসায় শিশু নির্যাতনের এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জুনায়েদ আহমেদ ওই মাদ্রাসায় হেফজ নাজেরা বিভাগে অধ্যায়নরত। সে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পার গোয়াল গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। সাত বছর যাবৎ একই মাদ্রাসাতে সে পড়ালেখা করছেন।
তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা চলছে বলে জানান, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল আজিজ। তিনি জানান, শিশু জুনায়েদের পিঠে, বাম পায়ের উরু ও বাম হাতের একটি আঙ্গুলে জখম ও নীলা ফোলা দাগ রয়েছে। তবে, শিশুটি আশংকামুক্ত।
শিশুটি জানান, পরীক্ষার পর তার দুই বন্ধু দুটি কবুতর দিয়েছিল। কবুতর দুটি বাড়িতে রেখে এসেছে। গতকাল রাতে হুজুর জুবায়ের আহমেদ এটিকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে দফায় দফায় ছড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। এসময় অন্যান্য ছাত্ররা ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়ে। তাকে চিকিৎসা না দিয়ে ঘরে আটকিয়ে রাখে।
মাদ্রাসার পাশের কয়েকজন জানতে পেরে তার মা রিমা খাতুনকে মোবাইল ফোনে জানালে তিনি অভিযুক্ত শিক্ষক জুবায়ের হোসেনের মোবাইল ফোনে ছেলের খোঁজ জানতে এবং কথা বলতে চান। কিন্তু শিক্ষক জুবায়ের তাকে না দিয়ে তালবাহানা করেন। আজ সকালে মাদ্রাসাতে এসে ছেলেকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। এঘটনায় রিমা খাতুন গাংনী থানায় শিক্ষক জুবায়ের হোসেনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক জুবায়ের হোসেন পলাতক রয়েছেন।
গাংনী থানা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।