
নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় মেহেরপুরে বিদ্যমান পলিসির প্রয়োগ ও নতুন পলিসি উন্নয়নে মাল্টি স্টেক হোল্ডার ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সম্মেলন কক্ষে আরএমটিপি প্রকল্প ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়ার্কশপে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার ব্যানার্জী। উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোত্তালেব আলী, মুজিবনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হারিছুল আবিদ, আরএমটিপি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. আবু সালেহ মো. শহিদ, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের এরিয়া ম্যানেজার মো. শাহ আলম, মনিটরিং এন্ড রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট অফিসার মো. পলাশ মিয়া, ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর ডা. মো. আজিজুল হক, মো. আব্দুল হাদি ও সহকারী ফ্যাসিলিটেটর মোছা. সহিবা খাতুন, মো. আল আমিন এবং মো. মহিদুল ইসলাম হোসেন।
এছাড়াও ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধি, ঘাসের ডিলার পয়েন্ট, দুগ্ধজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী, মিট প্রসেসিং উদ্যোক্তা, ভার্মি কম্পোস্ট উদ্যোক্তা, লিড খামারী ও এলএসপি প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারগণ।
ওয়ার্কশপে নিরাপদ খাদ্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের বিদ্যমান পলিসি এবং তা বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। গবাদিপশুর লালন-পালনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, নিরাপদ মাংস ও দুধ উৎপাদনে অপ্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবহার রোধ, স্টেরয়েড ব্যবহার বন্ধ এবং ব্যবসা পরিচালনায় সরকারি নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া, ভ্যাকসিন হাবের প্রয়োজনীয়তা, নিরাপদ খাদ্য আইন ও স্টেক হোল্ডারদের দায়িত্ব সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার ব্যানার্জী তার বক্তব্যে আরএমটিপি ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও আমিষের চাহিদা পূরণে সম্মিলিত অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ওয়ার্কশপ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মতবিনিময় ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

 
								
				

 
												