মেহেরপুর জেলা সদরের চুয়াডাঙ্গা সড়কে সন্ধ্যানী সংস্থার পরিচালনায় মোখলেছুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য নার্সারি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি ফরম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার বিকালে নির্মাণাধীন বিল্ডিং এ কাজের উদ্বোধন করেন, সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মহাঃ আবু জাফর। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, সন্ধ্যানী সংস্থার কোর্ডিনেটর জাকি আল জাকওয়ান নিবিড়, সংস্থার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান, ভাইস প্রিন্সিপাল রাজু আহমেদ, মাধ্যমিক শাখার একাডেমিক প্রধান আক্তার হোসেন, প্রাথমিক শাখার একাডেমিক প্রধান ও নুতন শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাইফুর রহমান মিরন, সন্ধ্যানী নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রধান শাহনাজ পারভীন, অভিভাবক আশিক উর রহমান, আরিফ হোসেনসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ফরম নিতে আসা অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবু জাফর ডঃ মোখলেছুর রহমান সম্পর্কে বলেন, তিনি ছাত্র জীবন থেকেই সামাজিক কাজ ও মানুষের কল্যাণে কাজ লরে যাচ্ছেন। করমদি গ্রামে হাসপাতাল নির্মাণ, সেলাই প্রশিক্ষন কেন্দ্র তৈরী, স্কুল তৈরী, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরী সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান তৈরী করেছেন। আমরা সংস্থার পক্ষ থেকে তাকে সম্মানিত করার জন্য মেহেরপুরের এই প্রতিষ্ঠানের নাম ওনার নামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যদিও প্রথমে তিনি রাজী ছিলেন না।
তিনি আরও জানান, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ও মেহেরপুর জেলা কে শিক্ষাক্ষেত্রে আরও এগিশে নেয়ার জন্য গাংনীর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মেহেরপুরে মোখলেসুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ চালু করতে যাচ্ছি। তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠান আপনাদের সকলের। আপনাদের সহযোগিতায় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টি একটি মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবো। আগামীতে মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয় চালু হলে এখান থেকে ভাল মানের শিক্ষার্থী বের হতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে।
তিনি জানান, শিক্ষার পাশাপাশি এক্সাকারিকুলাম এক্টিভিটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারিরীকভাবে একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এ প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাবে। এ প্রতিষ্ঠানের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। আগমাী বছর ২০২৬ সালে নার্সারি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে। প্রতিবছর ধাপে ধাপে শ্রেণী সংখ্যা বাড়তে থাকবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য যে, গাংনীতে সন্ধ্যানী সংস্থা পরিচালিত স্কুলটি জেলার অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। এ বছর সন্ধ্যানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৩৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ৬২ জন জিপিএ ৫ সহ সবাই পাশ করে জেলায় প্রথম হয়েছে।