মেহেরপুরে ময়লা আবর্জনা ও পয়:বর্জ্য থেকে তৈরি হবে জৈব সার

মেহেরপুর শহর এখন থেকে পরিস্কার থাকবে। কোন সড়কে, এমনকি কারো বাড়ির সামনে কোন ধরণের ময়লা আবর্জনা থাকবেনা। সেই সব ময়লা আবর্জনা পৌরসভার গাড়িতে করে নিয়ে এসে ফেলা হবে ডাম্পিংয়ে। বিশেষ প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে সেই আবজর্নাগুলো পরবর্তিতে জৈব সারে রুপান্তরিত হবে যা এলাকার কৃষি কাজে ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে পয়:বজ্যর জন্য শোধনাগার করা হয়েছে। সেখানেও এগুলো ফেলা হবে। সেখান থেকেও জৈব সার উৎপাদন হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ব্র্যাক অফিসের পেছনে ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দে নির্মিত স্যানিটারি ল্যান্ড ফিল্ড ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান এ কথা বলেন।
নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (ইউজিআইআইপি-৩) এর অর্থায়নে ৩একর জমির উপর স্যানিটারি ল্যান্ড ফিল্ড (ডাম্পিং) ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে।

মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ সাবেক প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, পৌরসভার প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম প্রমুখ।

স্যানিটারি ল্যান্ড ফিল্ড

স্যানিটারি ল্যান্ড ফিল্ড

অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র বলেন, মেহেরপুরের মানুষ পৌরসভার কাছে খেতেও চাইনা, পরতেও চাইনা। তারা চাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি শহর, একটি সমাজ। তারই আলোকে আজকে আমাদের একটি বড় পাওয়ার দিন। এটা বাংলাদেশের অনেক পৌরসভার ভাগ্যে জোটেনি। তবে মেহেরপুর পৌরসভার স্যানিটারি ল্যান্ডফিল্ড ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার যেটা মেহেরপুর পৌরসভা করতে সক্ষম হয়েছে। আজকে আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেটা একসময় ভাগাড় ছিল। সেই জায়গা তিলে তিলে আজকে আমরা একটি সুন্দর পরিবেশে গড়তে পেরেছি। বাংলাদেশ সরকারের যেটা চিন্তা ভাবনা সেটা হলো যে জিনিসটাই তৈরি হবে কেন সেটা যেন টেকসই হয়। সেই উদ্যোগে আমরা এই প্রকল্পটি হাতে নিয়ে ছিলাম । আমরা যদি এটা সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি তাহলে এটা ২০ বছরেও কিছুই হবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।