মেহেরপুরে লকডাউনের বেড়াজালে আটকে কষ্টে দিন কাটছে গণপরিবহন শ্রমিকদের

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের বেধে দেওয়া সাত দিনের কঠোর লকডাউনে গাড়ির চাকা থেমে যাওয়ায় থেমে গেছে মেহেরপুরের শ্রমিকদের জীবন জীবীকার চাকাও। করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে নিদারুণ কষ্টে জীবন যাপন করছে মেহেরপুরের গণপরিবহন শ্রমিকরা। লকডাউনের বেড়াজালে আটকে কর্মহীন থাকায় পরিবার নিয়ে চরম দুর্দশায় দিন পার করছেন এসব গণপরিবহনের শ্রমিকরা। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে খাবার ও সাহায্যের দাবি করেছেন অনেকেই। সরকার কর্তৃক সাত দিনের কঠোর লকডাউনে সব ধরণের গণপরিবহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে এসব গণপরিবহনে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন। ফলে গাড়ির চাকা থেমে যাওয়ার পর এসব শ্রমিকদের জীবন জীবীকার চাকাও বন্ধ হয়ে আছে। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে পরিবহন মালিক পক্ষও তাদের কোন সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকরা। শ্রমিকরা জানান, করোনার কারণে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হলেও সাহায্যের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি শ্রমিকদের জন্য। কর্মহীন হয়ে চরম কষ্টে দিন যাপন করতে হচ্ছে। ধারদেনা করে আর কত চলা যায়। প্রায় পনের দিন যাবৎ কর্মহীন হয়ে আছি। গাড়ির মহাজনরাও আমাদের একবার খোঁজ নেয়নি। কিভাবে চলছি, কি খাচ্ছি।
সংসারে চালের চিন্তা, মায়ের ওষুধের চিন্তা, কোথায় যাবো কি করবো চিন্তার শেষ নেই। খাদ্য সংকটে ঘরে খাবার না থাকলেও তাদের খোঁজ নেয়নি কেউ। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক পোশাক কারখানা চালু আছে কিন্তু পরিবহণ বা লোকাল বাস চলতে দেয়া হচ্ছেনা। গাড়ি না চললে তো আমাদের ইনকামের কোন পথ নেই। তাই খাদ্য সহায়তার দাবি জানান তারা। তারা আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সরকারের বেঁধে দেওয়া সাত দিনের কঠোর লকডাউনে সবচেয়ে অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন করছে গণপরিবহন শ্রমিকরা। লকডাউনের কারণে প্রায় দু’সপ্তাহ কর্মহীন অবস্থায় থাকলেও কেউ তাদের কোন প্রকার ত্রাণ কিংবা সহায়তা করেনি। এতে পরিবার নিয়ে তারা চরম উৎকণ্ঠা ও হতাশার মধ্য দিন পার করছে। গাড়ি বন্ধ থাকায় আমাদের আয়ের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তায় গাড়ি বের করতে পারছি না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ দ্রুত গাড়ী চলাচলের ব‍্যবস্থা করে দিন না আমাদের সহযোগিতার ব‍্যবস্থা করুন।