অবৈধ হুটার ও সাইরন

মেহেরপুরে সড়কে স্বঘোষিত ভিআইপিদের দাপট

মেহেরপুর জেলায় সড়কে যত্রতত্র শোনা যায় সাইরেন ও হুটারের তীব্র শব্দ। লক্ষ্য করলে দেখা যায় জরুরি প্রয়োজনে যেসকল যানবহনে সাইরেন ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে, এগুলো সেটা না। উঠতি বয়সের ছেলেরা মোটরসাইকেলে এবং একটু বিত্তশালী পরিবারের ছেলেরা প্রাইভেট কার ও জিপে এগুলো ব্যবহার করছে। শুধু তাই নয় মেহেরপুর জেলার রেন্ট এ কার ব্যবসায়ীদের প্রায় ৮০ শতাংশই তাদের গাড়িতে হুটার ও সাইরেনের ব্যবহার করে। সাইরেন ও হুটারের শব্দ শুনলে মানুষ ওইসব বাহনকে দ্রুত চলাচলের সুযোগ করে দেয়। এতে একদিকে যেমন শব্দ দূষণ বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারণাতেও এ ধরনের কর্মকাণ্ড জেলা জুড়ে ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। সাইরেন ও হুটার ব্যবহার করে গ্রামাঞ্চলে নির্বাচন কেন্দ্রিক অপ্রীতিকর অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে বলেও অনেকে মন্তব্য করছেন।

প্রকৃত ভিআইপি ব্যতীত পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও রোগীবাহী এম্বুলেন্সে সাইরেন ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। অথচ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সাইরেন ব্যবহার করা হচ্ছে মোটরসাইকেল বা কালো গ্লাসে ঢাকা দামি কোনো গাড়িতে। এ যেন নিজেদেরকে স্বঘোষিত ভিআইপি বলে প্রকাশ করার ঔদ্ধত্য ।

এভাবে শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে সাইরেন ও হুটার বাজিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে স্বঘোষিত ভিআইপিরা। বিশেষ করে উঠতি বয়সের তরুণরা এ ধরনের গাড়িগুলো চালিয়ে বা রেস করে বিকৃত আনন্দ খুঁজে পায়। এছাড়া কতিপয় কিশোররাও নিজের মোটরসাইকেলে সাইলেন্সার পাইপ খুলে বিকট শব্দ তৈরি করে আতঙ্ক ছড়ায়। এদের কেউ কেউ আবার জীবজন্তুর অদ্ভুত আওয়াজের ডিজিটাল হর্ণ ব্যবহার করে। রাস্তায় চলন্ত গাড়ির ঠিক পেছনে পৌঁছেই অথবা জনসমাগম স্থলে পৌছানো মাত্র বিকট শব্দ ছড়ানো হর্ণ বাজিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষকে তটস্থ করে দিচ্ছে।

মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, ‘অবৈধ হুটার ও সাইরন নিয়ন্ত্রণে আমরা দু-একদিনের মধ্যেই কঠোর অভিযানে নামবো। ইতিমধ্যে আমরা জেলা ট্রাফিক বিভাগের মাধ্যমে সকলকে সচেতন করেছি। এবার আমরা জরিমানা ও আটকসহ সর্বোচ্চ কঠোর হব। আমাদের এই কার্যক্রম শুধু নির্বাচন কেন্দ্রীক সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং পথচারী ও চালক উভয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সহ সকলকে যথাযথ ট্রাফিক আইন মেনে চলতে আগামীতে বাধ্য করা হবে। ‘