মেহেরপুর কারাগারে ইয়াবার চালান নেয়ার পথে আটক ২ মাদক ব্যবসায়ী

মেহেরপুরে আন্তজেলা ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবসায়ী চক্রের দুই সদস্যকে ৯৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার সময় মেহেরপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মেহেরপুর শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে মেহেরপুর এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পূর্বাশা পরিবহনে এ অভিযান পরিচালনা করে, দুই যাত্রীকে তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে কাছ থেকে ৯৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।

আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলো চট্টগ্রামের ভূজপুর উপজেলার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩২) এবং হাবিবুর রহমানের ছেলে হারুনুর রশিদ (৪০)।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে মেহেরপুরে ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি বড় চালানো আসছে একটি সুত্র থেকে এমন খবরের ভিত্তিতে মেহেরপুর সদর ফাঁড়ি জেলা গোয়েন্দা বিভাগের সহায়তা নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা পূর্বাশা পরিবহনে অভিযান চালায়। এসময় যাত্রী বেশে আসা মাদক ব্যবসায়ী হারুনর রশিদ ও দেলোয়ার হোসেনকে চ্যালেঞ্জ করে তাদের শরীর ও কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে বিস্কিটের প্যাকেট থেকে ৫৫০ পিস এবং পকেট থেকে ৪০০ পিস সহ মোট ৯৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য আনুমানিক ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা।

এদিকে, ঘটনাস্থলের একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানান, অভিযান চলার সময় মেহেরপুর জেলা কারাগার কারারক্ষী সোহেল তাদেরকে নিতে এসেছিল কিন্তু গাড়ি থেকে নামা মাত্র পুলিশ আসামিদের আটক করায় সেখান থেকে তিনি সটকে পড়েন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে কারারক্ষী সোহেলের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে মেহেরপুর জেলা কারাগারে অন্তত ২০০০ পিস ইয়াবা প্রবেশ করে। এছাড়াও সোহেল ও আকাশ নামের দুই কারারক্ষী স্থানীয় বুড়িপোতা বর্ডার থেকে নিয়মিত ফেনসিডিলের চালান এনে মেহেরপুর জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে অবৈধ মাদক ব্যবসা করে আসছে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া মেহেরপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে তারা সংঙ্গবদ্ধ আন্তজেলা মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য বলে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মেহেরপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মনির আহমেদের ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পরে জেলার আমানুল্লাহ সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ‘সোহেল নামে জেলা কারাগারে তিন জন স্টাফ রয়েছে। একজনের বিরুদ্ধে কিছু অনৈতিক অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’