মেহেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্রীড়াবিদ ও জেলা ক্রীয়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য এ এস লিটন।
আজ মঙ্গলবার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “মেহেরপুরে একটি বিশাল সংস্থা রয়েছে! যেটির নাম মেহেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা! মেহেরপুর জেলার সব ধরনের খেলাধুলার নিয়ন্ত্রক এই জেলাক্রিড়া সংস্থাটি! যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে-সেই বলয়ের মানুষগুলি দ্বারাই এটি পরিচালিত হয়।
বিগত দিনে আমরা এমনটিই দেখে এসেছি! জেলা ক্রীড়া সংস্থাটির কার্যক্রম নিয়ে জেলার সাধারণ মানুষের কখনো কোনো মাথাব্যথা দেখেনি! কিছু মানুষের মাথাব্যথা দেখা দিলেও ক্ষমতাবানদের দাপটে চুপ থাকতে বাধ্য হয়েছে! মেহেরপুরের ক্রীড়ঙ্গনের বিভিন্ন মানুষ ও খেলায়াড় গণ বারবার মুখ খোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে!
একটি বৃহৎ অপশক্তি এটিকে ভোগ দখল করেছে বারবার। ভিতর ও অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো রয়েছিল সব সময় ধোঁয়াশা স্বেচ্ছাচারিতায় ভরপুর।
বর্তমান সময়টা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে চলছে এমনটি আমাদের বাহ্যিক চোখে দৃশ্যমান। আমি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অযোগ্য একজন অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সদস্য।
এই নিরপেক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ভেবেছিলাম মেহেরপুরে ক্রীড়াঙ্গনকে মন্থর গতি থেকে বের করে নিয়ে আসা যায় কিনা। হয়তো সে আসার গুড়ে বালি হতে চলেছে। সেই আগেকার মতই এখনো কোন এক অদৃশ্য শক্তি দ্বরাই পরিচালিত হচ্ছে এই সংস্থাটি। এই সংস্থাটির মধ্যে কি আছে জানিনা -ভিতরে বাহিরে এটিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলে সবসময়। এ বছরে এই সংস্থাটির মাধ্যমে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ দিয়ে কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন দুর্নীতির অজুহাতে বিলম্বিত ও না হওয়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে! এ বিষয়টা নিয়ে আমরা অত্যন্ত -মর্মাহত দুঃখিত-ও ব্যথিত। তবে যে কয়দিন আছি চেষ্টা ও যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে- এখনো পুরোপুরি হতাশ নয়!
নিভু নিভু আলো উজ্জ্বলতা ফিরে পায় কিনা আর কয়দিন দেখি। আলো নিভার আগেই সরে আসব ইনশাআল্লাহ।”