
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নবনিযুক্ত অতিরিক্ত বিচারপতি আসিফ হাসানকে সংবর্ধনা দিয়েছে মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতি।
মঙ্গলবার দুপুরে সমিতির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় জেলা বারের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বিচারপতি আসিফ হাসান মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ৩৯ নম্বর সদস্য। তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে সংবর্ধনা স্মারক তুলে দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহাম্মদ বিজন, সাধারণ সম্পাদক ও পাবলিক প্রসিকিউটর এ এস এম সাইদুর রাজ্জাক টোটন এবং সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট মখলেছুর রহমান খান স্বপন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহাম্মদ বিজন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক টোটন। বক্তব্য রাখেন বারের সিনিয়র সদস্য, সাবেক ও বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
সভায় বক্তব্যে বারের সাবেক সভাপতি ও জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের জেলার সন্তান ও মেহেরপুর বারের গর্বিত সদস্য হাইকোর্টে বিচারপতি নিযুক্ত হওয়ায় আমরা সত্যিই গর্বিত। আমি প্রস্তাব রাখছি, আসিফ হাসানের সম্মানে মেহেরপুর জেলা বারের ৩৯ নম্বর সদস্যপদটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত করা হোক।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মারুফ আহাম্মদ বিজন বলেন, আমাদের ছোট্ট জেলা থেকে এই প্রথম কেউ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, এটি আমাদের জন্য ঐতিহাসিক অর্জন। আসিফ হাসানের এই নিয়োগ প্রমাণ করেছে, মেহেরপুর থেকেও বিচারাঙ্গনের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছানো সম্ভব। চাকরি বিধি অনুযায়ী বিচারকদের অবসরের বয়স ৬৭ বছর। আমরা প্রত্যাশা করি, এর মধ্যেই তিনি নিজের যোগ্যতায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ অলংকৃত করবেন।
সংবর্ধিত বিচারপতি আসিফ হাসান বলেন, আমি সব সময় আমার বারকে শ্রদ্ধা করেছি, কখনো অসম্মান করিনি। এখানকার সকল আইনজীবীরও উচিত নিজেদের বারের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা। রাস্তায় চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়ার মতো কাজ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। আমাদের সকল আলোচনা এবং আড্ডা বার ও আদালতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে পেশার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, বিচারপতি আসিফ হাসান মেহেরপুর জেলার সন্তান। তিনি স্থানীয় বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে ঢাকার একটি স্বনামধন্য কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক (এলএলবি) ও স্নাতকোত্তর (এলএলএম) ডিগ্রি অর্জন করেন।