মেহেরপুরে বিক্রয়কর্মীর লাশ উদ্ধার

মেহেরপুর পৌর শহরের পৌর ঈদগাহ পাড়ায় গন্ধরাজ নারকেল তেল কোম্পানীর কবির হোসেন নামের এক বিক্রয়কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ঈদগাহ পাড়ার রিপন হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়ির তিনতলার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। কবির হোসেন মাগুরা জেলার বাসিন্দা। কবির হোসেন ঐ বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

জানাগেছে, গত ৩ জুন তিনি ঐ বাসায় ভাড়া ওঠেন। এবিষয়ে বাড়ির মালিক মোঃ রিপন বলেন, কবির হোসেন গত ৩ জুন এসেছে আমার বাসায়। আলেয়া ষ্টোরের মালিকের ছেলে মহব্বত ভাই নিজে এসে তাকে আমার বাসায় তুলে দিয়ে যায়। আমি তার পরিচয় জানলাম বলল মাগুরায় বাসা। আমি বললাম ভাড়া তো এডভান্স দিয়া লাগবে। তখন কবির বললেন ১০ তারিখে বেতন পাবে তারপরে আপনার টাকা দিব। খাওয়ার টাকাও দেয় নাই। আমি জিজ্ঞাসা করলাম আপনি কোন কোম্পানির তিনি বললেন লালবাগ কেমিক্যাল গন্ধরাজ তেলের অর্ডার কাটি।

প্রতিদিনের মত সে গতকাল (০৯জুন) রাতের খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাইছে, আমার একসাথে রুমে বসে গল্পগুজব করলাম, আম খেয়েছি। সে আমাকে বলল ভাই আমি ঘুমাইতে গেলাম। সকালে সবাই নিজ নিজ মার্কেটে চলে যায়। আমার এখানে বিভিন্ন কোম্পানীর ১৮ জন লোক থাকে। সবাই মার্কেটে চলে গেছে। কাজের মেয়ে প্রতিদিনের মত বেলা ১১ টায় রান্না করতে আসে। রান্না করতে এসে বলছি কি ব্যাপার একজনের খাবার পরে আছে কেন? উনি বলছে কে খাইনি কে খাইনি। লোক খুঁজতে খুঁজতে দেখে কবিরের রুম খোলা। লোকটিকে দেখার পর বলছে বাপ উঠে খেয়ে নাও খেয়ে নাও।

তিনি ওঠেনা আরেকজন আবার গ্যাস দিতে এসেছিল। খালা ওনাকে বলছে বাপ ঐ লোকতো উঠছেনা দেখতো, উনিও ডেকেছে, পরে হাতের পালস চেক করে দেখছে হাতে পালস নেই।

পরে আমাকে ফোন দিয়েছেন বলে ভাই দ্রুত বাসায় আসেন। আমি এসে দেখছি এই অবস্থা। তখন আমি প্যানেল মেয়র ও তার ডিলার পয়েন্ট মহব্বত ভাই কে ফোন দিলাম। তিনি আসলেন পাড়া-মহল্লার লোক ও আসলে এসে দেখছে এই অবস্থা স্ট্রোক করে মারা গেছে। তার পাশে মোবাইলটা পড়েছিল। মোবাইলে দুলাভাই নামে একটা নাম্বার সেভ করা ছিল। আমি সেই নাম্বারে যোগাযোগ করে তাদের খবর দিলাম। তো উনারা উনাদের মত পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। উনার বোন বোনাই ও ভাগ্নি রওনা দিয়েছে এখন যখন পৌঁছাইনি। পুলিশকে জানানো হয়েছে।

এবিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা জানান, প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যর কোন ক্লু পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের লোকজন এখনও পৌছায়নি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।