
৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গণঅভ্যুত্থানে নিহত সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করেছে মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
এর আগে মেহেরপুর কলেজ মোড়ে শহীদ স্মৃতিসৌধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের একান্ত সচিব ড. তারিক আজিজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ বখতিয়ার উদ্দীন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক শেখ মোস্তাক আলী।
প্রফেসর ড. বখতিয়ার উদ্দীন তার বক্তব্যে জুলাই বিপ্লবের পটভূমি ও ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ যেখানে মানুষ মানুষকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করবে, এবং অফিস-আদালতসহ সমাজের প্রতিটি স্তরে মানুষ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে।
তিনি আরও বলেন, ৩৬ জুলাই যেমন আনন্দের, তেমনি বেদনার দিনও বটে। শুরুতে এই আন্দোলন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সার্বজনীন পেনশন স্কিমকে কেন্দ্র করে। পরে এটি ছড়িয়ে পড়ে ছাত্রদের কোটা ও অন্যান্য যৌক্তিক দাবির মধ্য দিয়ে। এ আন্দোলন ছিল না কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দলের এটি ছিল ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের যৌথ প্রয়াস।
তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল, ছাত্ররা কোনো দলের বা গোষ্ঠীর লেজুড়বৃত্তি না করে নিজেদের স্বাধীন চেতনায় দেশের কল্যাণে কাজ করবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সে প্রত্যাশা আজও পূরণ হয়নি।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান একদিন এগিয়ে আনার মধ্য দিয়ে আন্দোলনটি আশীর্বাদে পরিণত হয়েছিল। কোনো অবস্থাতেই সরকারের বর্বরতা সমর্থনযোগ্য নয়—সে সময় সকল শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণই ছিল তার প্রমাণ।
তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে তিনি সকল প্রকার বৈষম্য, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা শেষে জুলাই বিপ্লবে নিহতদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া করা হয়।