মেহেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেছেন, মেহেরপুর সদর উপজেলা যেন বাংলাদেশে একটি মডেল হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। আমরা সকলের সহযোগিতা নিয়ে সে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, এখানে বসবাসকারী কেউ অশান্তি ভোগ করেন না। এই উপজেলার সকল ধর্মের মানুষ অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বসবাস করেন। তিনি বলেন, ইসলাম আমাদের যে শিক্ষা দিয়েছে সে শিক্ষা মেনে বসবাস করতে হবে। কোন ধর্মেই হত্যা, হিংসা-বিদ্বেষেকে স্থান দেয় না। তিনি বলেন, মানুষ খারাপ হতে পারে, কিন্তু ধর্ম খারাপ নয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ হল রুমে পিস ফ্যাসিলিটিটর গ্রুপ (পিএফজি)’র উদ্যোগে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
পিএফজি’র পিস এম্বাসেডর সিরাজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে সংলাপ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক সিরাজুল মুনির, পুলিশ পরিদর্শক সেলিম উদ্দিন, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুল ইসলাম, সমাজসেবা অফিসার আনিছুর রহমান। কার্যক্রম ও মুল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন দি হাঙ্গার প্রোজেক্টের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রাজু জাভেদ।
মুজাহিদ মুন্নার সঞ্চালনায় সংলাপ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, খাদ্য কর্মকর্তা এরশাদ আলী, মেহেরপুর জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা রোকনউদ্দিন, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সাহিদাতুন্নেসা নয়ন, আব্দুস সাত্তার মুক্তা, সঞ্জয় মুখার্জী, জন পি বিশ্বাস প্রমুখ।
সংলাপে অন্যদের মধ্যে ইমাম জামাল উদ্দিন, সামিউল ইসলাম, শাহিন আলম, ইদ্রিস আলী, আব্দুল ওহাব, সাইফুল ইসলাম বকুল, জিল্লুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজমল হোসেন মিন্টু, সাবেক কাউন্সিলর পলি খাতুন, সোনিয়া আক্তার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সঞ্জীব পাল বাপি, লিপিকাদে, অনন্যা রানী দাসীসহ বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।