প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেছেন, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট, জনবল সঙ্কট রয়েছেে এবং একই চিত্র সারা বাংলাদেশেরই। বিদ্যমান অবস্থায় সমন্বিত চেষ্টায় যাতে স্থানীয়রা ভালো চিকিৎসসেবা পান এ লক্ষ্যে আমি সকলের সাথে কথা বলেছি। আমি চাই হাসপাতালে পরিবেশটা অন্ততপক্ষে সুন্দর থাক । কারণ হাসপাতালে পরিবেশ সুন্দর না থাকলে একজন রোগীর সাথে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়বে।
আজ শুক্রবার (৩০ মে) সকালে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মনির হায়দার বলেন, “সরকারের লক্ষ্য হলো প্রতিটি মানুষ যেন স্থানীয় পর্যায়ে উন্নত চিকিৎসাসেবা পায়। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নের প্রয়োজনীয় দিকগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। এখানে যারা কর্তৃপক্ষ আছে তাদের সাথে কথা বলেছি তাদেরকে হাসপাতালের পরিবেশ টা যেন সুন্দর থাকে এবং সুইপারদেরকে নিয়মিত দিনে একবার যেন আবর্জনা গুলো ফেলে দেয় সেগুলোর ব্যপারে কথা হয়েছে। তাহলে কিছুটা পরিবেশ সুন্দর হবে। এটি পৌরসভার কাজ এই হাসপাতালে মাত্র দুইজন সুইপার নিয়োজিত। এই দুইজনের পক্ষে এত বড় একটি হাসপাতাল পরিষ্কার করা সম্ভব না । আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে এই সংকট দূর করা যায়। আমি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেছি এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কিভাবে তারা সমন্বিত প্রচেষ্টায় পরিবেশ সুন্দর রাখার কাজটি চালিয়ে যেতে পারে সেটা যেন করে।
খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ আহমেদ, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ সুপার মাকসুদা খানম, সিভিল সার্জন এ.কে.এম. আবু সাঈদ এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহরিয়া শায়লা জাহান পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি হাসপাতালের বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, ওয়ার্ডসমূহ, ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র এবং রোগীদের অবস্থা ঘুরে দেখেন। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সেবার অভিজ্ঞতা জানেন এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা নেন।