মেয়র ও কাউন্সিলররা মুখোমুখি অবস্থানে

মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আবারও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাউন্সিলররা।
গতকাল বুধবার দুপুর ৩টার সময় গাংনী পল্লী বিদ্যুৎতের সামনে তারা সাংবাদিকদের সামনে মেয়রের ব্যাক্তিগত ও পৌরসভার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পৌর এলাকায় সাধারণ জনগণের সামান্য বিল বকেয়া হলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ পূনরায় মিটার সংযোগের জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায় করে নিচ্ছে অথচ পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামের ব্যাক্তিগত বাড়ির বিল বাকি থাকলেও তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছেনা এছাড়াও পৌর মেয়র জনগণের সাথে নীল করদের মতো অতিরিক্ত ট্যাক্স আদায় করেও পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখছে।

কাউন্সিলররা বলেন, যেহেতু জনগণের সাথে নিয়মিতভাবে অতিরিক্ত ট্যাক্স আদায় করছে সেই ট্যাক্সের টাকা কোথায় যাচ্ছে এটা বোধগম্য নয়।

তারা মেয়রের কাছে প্রশ্ন রাখেন এত ট্যাক্স আদায়ের পরও কেন পৌরসভার বিল বকেয়া থাকবে এমনকি ভুয়া বিল ভাউচার করে বিল তুলে নেওয়া হচ্ছে এর তীব্র প্রতিবাদও জানান তারা।

কাউন্সিলররা প্রায় আড়াই হাজার কার্ড ধারিদের ট্যাক্স মউকুফের প্রসঙ্গে বলেন, তাদের প্রতি আমাদের কোন ক্ষোভ নেই কিন্তু তাদের যে ট্যাক্স নেওয়া হবেনা এর কোন রশীদ নেই এ কারণে পরবর্তিতে তাদেরকে বিপদে পড়তে হবে।

এর আগে কাউন্সিলররা জানান, আড়াই হাজার সুবিধা ভোগীরা পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামের ব্যাক্তিগত খাদিজা-আশরাফ ফাউন্ডেশনের কার্ডধারি। তারা কেন পৌরসভা থেকে সুবিধা নিয়ে মেয়রের ব্যাক্তিগত ফাউন্ডেশনের নামে চলবে। তারপরও কাউন্সিলররা গরীব অসহায়দের কথা মাথায় রেখে বলেন, তাদেরকে রশীদ দেওয়া হোক তা নাহলে পরবতির্তে মেয়র আসলে তাদেরকে করের বোঝা বইতে হবে।

কাউন্সিলররা সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশ্ন রাখেন, যেহেতু পৌর ট্যাক্স জনগনের উপর চাপ দিয়ে আদায় করা হচ্ছে তাহলে বিদ্যুৎ বিল যাচ্ছে কোথায়।

এটা জনগনের সাথে মেয়র প্রতারণা করছেন বলে কাউন্সিলররা মনে করেন।

কাউন্সিলররা আরও বলেন, পল্লী বিদ্যুৎতের এজিএমকে বলা হয়েছে মেয়র আশরাফুল ইসলামের প্রায় দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বিল বকেয়া থাকলেও সাধারণ জনগণের বকেয়ার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে কেন। পরবর্তিতে মেয়র বিল পরিশোধ না হলে আমাদের সাধারণ জনগনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

পরবর্তিতে কাউন্সিলররা গাংনী পল্লী বিদ্যুৎতের ডিজিএম নিরাপদ দাসের সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, আসলে আমাদের ভিন্ন ভিন্ন দিনে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করণের প্রোগ্রাম থাকে। কে কোন অবস্থার মানুষ সেটা আমরা বিবেচনায় আনিনা। পৌর মেয়রের পর্যায়ে প্রোগ্রাম হলেই তারও নিয়মানুযায়ী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

আরো পড়ুন-আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২১ ফেব্রুয়ারী উৎযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা