প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বেই আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যত বাধাই আসুক তা প্রতিহত করে ভোট কেন্দ্রে ভাট দিতে যাবে জনগন এটাই সামাজিক দায়বদ্ধতা।
বুধবার (০১ আক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইদহ ডায়াবেটিস সমিতি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সাংবিধানিকভাবে সরকার পরিবর্তনের সকল পথ যখন পথ রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল তখন জুলাই বিপ্লবের শহীদরা তাদের জীবন দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ছাত্র জনতার এই বিজয় দেশে গণতান্ত্রিক উত্তোরণের পথ উন্মুক্ত করেছে। এই আন্দেলনের ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিই বর্তমান সরকারের বৈধতা দিয়েছে। সংকট কালিন সময়ে সংবিধানের নীতি মেনে চলেনা , দেশ কিভাবে চলবে, কে পরিচালনা করবেন তা সবকিছু রাস্তা থেকে নির্ধারণ করা হয়, তখন আন্দোলনকারীরাই ঠিক করে এসব আর এটাই সাংবিধানিক নিয়ম, তিনি বলেন ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, তারপর সরকার গঠন হয়েছে, তখন কি দেশে সংবিধান ছিল? তাহলে তখন সকার গঠন হয়েছে কিভাবে সবকিছু তখন দায়িত্ব বন্টনের মাধ্যমে হয়েছে। পরে ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের সংবিধানের সহায়তায় বাংলাদেশে সংবিধান রচিত হয়েছে। আমরা ১৯৭১ এবং ২০২৪ সাল কোনটাইকেই ছোট করে দেখবো না তবে দেশ রক্ষার নামে যারা এতদিন খুন গণহত্যা গুম করেছে তাদের কে আইনের আওতায় এনে দ্রæত বিচারের মুখোমুখি করতেই হবে। পি আর পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন আগামীতে কিভাবে নির্বাচন হবে তা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং জনগণই নির্ধারন করবে।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এমএ মজিদ, ঝিনাইদহ ডায়াবেটিস সমিতির সহ সভাপতি জাহিদুজ্জামান মনা, মো: আক্তারুজ্জামান, মো: জাহিদুল ইসলাম এবং মোঃ মনোয়ার হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন সভাপতিত্ব করেণ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যড. কামাল আজাদ পান্নু।