রেফার্ড করা ছাড়পত্রকে ডেথ সার্টিফিকেট বলে মেয়ের মৃত্যর গুজব ছড়ান মা

মনের ভুলে বিষপান করে হাসপাতালে ভর্তি, রোগীকে অন্য হাসপাতালে রেফার্ড করার পর তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে ঢাকা থেকে মেয়ে মিম (১৩) কে মেহেরপুরে আনার পর সে সুস্থ। হাসপাতালের রেফার্ড করা ছাড়পত্রকে মৃত্যু সার্টিফিকেট বলে কেন মেয়ের মৃত্যুর গুজব ছড়ান মিম এর মা তা নিয়ে ধোয়াশা তৈরী হয়েছে জনমনে।
জানাগেছে,মেহেরপুর সদর উপজেলা দিঘির পাড়া এলাকার রফিকুল এর স্ত্রী শাহিনা খাতুন ঢাকা গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে তিনি মেয়েদের নিয়ে ঢাকাতে অবস্থান করেন। রবিবার ঢাকাস্থ তার বাড়িতে এনে রাখা তেলাপোকা মারা বিষ মনের ভুলে পান করে মিম। বিষয়টি তার মা বুঝতে পেরে দ্রুত মীমকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নেওয়ার পর সেখানে বিস্তারিত জানানো হলে মীমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে অন্যত্র রেফার্ড করেন। রেফার্ড করা কাগজও মিমের মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপরই চলে মিমের মৃত্যুর সাজানো নাটক। মিম মারা গেছে এবং মিমকে মর্গে নেওয়া হচ্ছে এ কথা প্রচার করে মিমের মা শাহিনা খাতুন এক মাইক্রো চালকের সঙ্গে কথা বলেন, পরে ওই মাইক্রোযোগে তাকে মেহেরপুরে নেওয়া হয়। ঢাকা থেকে মেহেরপুর আসার পথে পথিমধ্যে মিম কথা বলে। সোমবার ভোরের দিকে মিমকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে মিম সুস্থ রয়েছেন। তবে কি কারণে মীমকে মৃত ঘোষণা করা হলো? মিমের মা এ ব্যাপারে কিছুই বলতে চাচ্ছেন না। ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মিমকে মৃত ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট ধরিয়ে দিয়ে মিম কে মর্গে নেওয়া কথা বলা হলে মিম বেঁচে আছে বুঝতে পেরে এক মাইক্রো ড্রাইভারের সহযোগিতায় মিম কে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রেফার্ড করা ছাড়পত্রকে ডেথ সার্টিফিকেট বলে মৃত্যর গুজব ছড়ানোর কারণে এবং মিম এর মা শাহিনা খাতুনের বক্তব্যে বিষয়টি নিয়ে রহস্যের দানা বাধতে শুরু করেছে