রেমিটেন্স বাড়ছে: প্রতিদিন আসছে ১.৬৫ বিলিয়ন ডলার

রেমিটেন্স বাড়ছে: প্রতিদিন আসছে ১.৬৫ বিলিয়ন ডলার

দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স আবারও বাড়ছে। গত সেপ্টেম্বরে বড় ধসের পর অক্টোবর মাসও শুরু হয়েছিল সেই পতনের ধারায়। তবে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আশার আলো দেখা যাচ্ছে।

গত ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্স প্রবাহের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তা থেকে দেখা যায়, চলতি অক্টোবর মাসে প্রথম ২৭ দিনে প্রবাসীরা ১.৬৫ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। পরিমাণটি গত সেপ্টেম্বর মাসের পুরো সময়ের চেয়েও ২৩.৫৯% বেশি। সেই সময় ১.৩৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছিলো। আর ২০২২ সালের অক্টোবরের পুরো মাসের চেয়ে ৮.১১ শতাংশ বেশি। তখন ১.৫২ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

অক্টোবর মাসের প্রথম ২৭ দিনে প্রতিদিনের গড় হিসাবে রেমিটেন্স এসেছে ৬ কোটি ১১ লাখ ডলার। একই হারে মাসের বাকি দিনগুলোতে ডলার আসলে অক্টোবর মাসজুড়ে মোট রেমিটেন্সের অঙ্ক ১.৯০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিদিনের এই গড় হিসাবে এসেছিল ৪ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।
২০২০ সালের প্রথম দিকে পৃথিবীজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে দেশে দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়ে ভৌগোলিক অর্থনীতি। সেই বছরে এপ্রিলেও ১.০৯ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এর পর থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়তে থাকে।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে সরকারের বিদ্যমান ২.৫% প্রণোদনার বাইরে গত ২২ অক্টোবর থেকে আরও ২.৫% প্রণোদনা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে ২.৫০ টাকা যোগ করে দেশের প্রাপককে ১০২ টাকা ৫০ পয়সা দেওয়া হচ্ছিলো। গত ২২ অক্টোবর থেকে ১০২ টাকা ৫০ পয়সার সঙ্গে আরও ২.৫০ টাকা অর্থাৎ মোট ১০৫ টাকা পাবেন।

এই হিসাবে ১ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসীরা ১৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। তাদের মাধ্যমে প্রতিদিন ৭০৫ কোটি টাকা দেশে এসেছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস অর্থাৎ গত আগস্টে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জুলাইয়ে ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার দেশে এসেছে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, ব্যাংকগুলোর ২.৫% বাড়তি প্রণোদনায় চলমান অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয় বাড়ছে। সেই সাথে হুন্ডি বন্ধ করা গেলে রেমিটেন্স আরও বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি।