রেল সংযোগ চালু হলে কৃষকসহ সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে — জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হেসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুয়ায়ী মেহেরপুরে রেল সংযোগ স্থাপনে অধিকতর গুরত্ব দেওয়া হয়েছে। দর্শনা থেকে মুজিবনগর হয়ে মেহেরপুর পর্যন্ত রেল সংযোগের আওতায় আনা হচ্ছে। পরবর্তিতে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা অথবা মিরপুর পর্যন্ত বিস্তৃত করা হবে।

শুক্রবার সকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে “দর্শনা জংশন থেকে মুজিবনগর হয়ে মেহেরপুর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেল লাইন সংযোগের লক্ষে সম্ভাব্যতা যাচাই ও বিশদ ডিজাইন” বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেহেরপুরের উৎপাদিত কৃষিপণ্য কম খরচে যাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা নিয়ে যেতে পারেন সে লক্ষ্যে দ্রুত রেল লাইন প্রকল্পটি একনেকে পাশ হবে। এতে করে মেহেরপুর জেলার জন্য এটি একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

তিনি বলেন, ,মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে না ফেলে কম জমি নষ্ট করে কত সহজে রেল সংযোগ করা যায় সে বিবেচনায় ফিজিবিলিটি টেস্ট করে দুইটা ডিজাইন করা হয়েছে। আমরা সেটিকে আরো সহজতর করার লক্ষ্যে কাজ করছি।

জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে রেল সংযোগের ডিজাইন নিয়ে আলোচনা করেন প্রকল্প পরিচালক ও রাজশাহী রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন, সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, মেহেরপুরের পলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু প্রমুখ। এছাড়াও জুম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেও মেহেরপুরের বিভিণ্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অবহিতকরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।