শারীরিক অক্ষম সফল ফ্রিল্যান্সার কুষ্টিয়ার অনিক পেলেন সম্মাননা

জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় হুইলচেয়ার নির্ভর জীবন জীবিকা ও আরও অনেক তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করায় তরুণ উদ্যোক্তা ও সফল ফ্রিল্যান্সার কুষ্টিয়ার অনিক মাহমুদকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

ইকোনমি কুষ্টিয়ার উদ্যোগে গতকাল তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

এসময় কুষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রোখসানা পারভীন, সহকারী পরিচালক মোঃ মুরাদ হোসেন, শহর সমাজসেবা অফিসার আসাফউদ্দৌলা ও ইকোনমি কুষ্টিয়ার চেয়ারম্যান এসএম জামাল উপস্থিত ছিলেন।

কুষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রোখসানা পারভীন বলেন, ‘শারীরিক অক্ষমতা মানেই সবকিছু থেমে থাকা নয়। হাঁটাচলা করতে সক্ষম নন অনিক মাহমুদ।তবে এই প্রতিবন্ধকতার কাছে হার মানেননি তিনি। মনোবল হারাননি। ফ্রিল্যান্সিংকে অবলম্বন করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন।যার ফলে অদম্য লড়াকু অনিক মাহমুদ এখন সফল ফ্রিল্যান্সার। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ করছে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে।আমরা অনিকের জন্য সবসময় তার পাশে থাকতে চাই। আজকের এই সম্মাননা তাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

সম্মাননা পাওয়ার পর অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে অনিক মাহমুদ বলেন, ইচ্ছে ছিল জীবনে এমন কিছু করবো যাতে করে আমার এই প্রতিবন্ধীতার নামটি ঘুচে যায়। আমি সফল হয়েছি। কারণ. আমার কারো কাছে কাজের জন্য যাওয়া লাগে নি। বরং, আমি আমার প্রতিষ্ঠানে কিছু তরুণদের চাকরি দিতে পেরেছি। এই মনোবল আর ইচ্ছাশক্তির কারণেই হয়তো আজ আমি সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।’শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয়ী এই সফল ফ্রিল্যান্সারের মতে, ফ্রিল্যান্সার হতে হলে প্রচুর ধৈর্যের প্রয়োজন। এ কারণে অনেক তরুণ কাজ শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেন না। তাই কখনোই ভেঙে পড়া যাবে না। আর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিজেকে প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করতে হবে। ভালোভাবে কাজ না শিখে ফিল্যান্সিংয়ে আসা উচিত নয় বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোর্স করেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপহজেলার পোড়াদহ এলাকার মোজাহার আলীর ছেলে অনিক মাহমুদ।এরপর ইউটিউবের ভিডিও দেখে এবং বিভিন্ন টিউটোরিয়াল সাইট থেকে নিজের দক্ষতা বাড়ান।টি-শার্ট ডিজাইন নিয়ে ফাইভার ও আপওয়ার্কে কাজ করে সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন অদম্য লড়াকু অনিক।