শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে দন্ত চিকিৎসক হাবিবা

 

জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভায়ের নির্যাতন ও নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন ডা: উম্মে হাবিবা। ভাই কর্তৃক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে আহত হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী থানা পাড়ায়। ডাঃ হাবিবার পিতার নাম নুরুল ইসলাম। তিনি ঢাকার মিরপুরের স্কাই ল্যাব ডেন্টাল কেয়ারের একজন ডেন্টিস হিসেবে কর্মরত।

ডাঃ হাবিবা জানান, পৈত্রিক সুত্রে তিনি বাড়িসহ অন্ততঃ দু’কোটি টাকার সম্পত্তির দাবীদার। এ দাবীর প্রেক্ষিতে তার ভাই আওয়ামীলীগ নেতা সবুক্তিগীণ মাহমুদ পলাশের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। বুধবার দুপুরে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সবুক্তগীণ মাহমুদ পলাশ হাবিবাকে প্রচন্ড মারধর করেন ও গৃহবন্দী করেন। তাকে চিকিৎসা নিতে আসতেও দেয়নি। বৃহষ্পতিবার সকালে সবার অগোচরে ডাঃ হাবিবা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন ও সাংবাদিকদের কাছে নির্যাতনের বর্ণনা দেন।

ডাঃ হাবিবা আরো জানান, বেশ কিছুদিন আগ থেকেই পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাত করার অভিপ্রায়ে লিপ্ত। মাঝে মধ্যে পলাশ নির্যাতন করাসহ জিবন নাশের হুমকী দেয়। এমনকি বাবা নুরুল ইসলামকেও নির্যাতন করতে দ্বীধা করে নি পলাশ। নিজেকে ক্ষমতাসীন দলের লোক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রশাসনিক ফায়দা লুটার কারণে তেমন কোন সুরাহা করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে ভাই সবুক্তিগীণ পলাশ জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে ভাই বোনদের মধ্যে বিবাদ থাকতেই পারে। একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা নিয়ে থানায় বসতে হবে। ইতোপূর্বে বোন হাবিবা ফুসলিয়ে তার বাবা মাকে নিয়ে মেহেরপুর আদালতে গিয়ে ঢাকার জমি বিক্রির জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করতে যায় কিন্তু বাঁধার মুখে ফিরে আসে। এ থেকেই বোনের সাথে দ্বন্দ্ব।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, ডাঃ হাবিবার লিখিত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষকে ডেকে গাংনী থানায় বসা হবে। মিমাংসা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।