শিক্ষাঙ্গনে ফিরেছে প্রাণ

দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণচাঞ্চল্য হয়ে উঠেছে দিনাজপুর জেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের প্রায় তিন হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন পর প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রিয় প্রাঙ্গণে আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত তারা।

সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর জেলায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মোট দুই হাজার ৯৬০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় এক হাজার ৮৭০টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৫১, মাদ্রাসা ২৯৬, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ৯৩টি এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৫০টি।

করোনার কারণে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে। ফলে শিক্ষার্থীরা আসতে পারেনি তাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সহপাঠীদের ছেড়ে দীর্ঘ দেড় বছর বাড়িতে কেটেছে একপ্রকার বন্দি অবস্থায়। দীর্ঘদিন পর আজ থেকে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আবারও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আসতে পেরে খুশি তারা।

দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাগুফতা মেহরীন জানায়, স্কুল বন্ধ থাকায় অনলাইনে ক্লাস করেছে সে। কিন্তু সেটি তেমন প্রাণবন্ত ছিল না। বিদ্যালয়ে সশরীরে এসে প্রিয় শিক্ষক ও সহপাঠীদের সঙ্গে ক্লাস করতে পেরে যেন দেড় বছর আগের সেই স্বাদ ফিরে পেয়েছে সে।

দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লায়লা হাসিনা বানু জানিয়েছেন, শিক্ষার্থী ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিণত হয়েছিল বিরাণভূমিতে। পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এখন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব রকম ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে বলে জানালেন ওই প্রতিষ্ঠানপ্রধান।

উল্লেখ্য, করোনা অতিমারীর জন্য গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা কমে আসায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ রোববার থেকে সারা দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শুরু হয়েছে পাঠদান কার্যক্রম।