শৈলকুপায় আবাসন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ঝাউদিয়া আবাসন প্রকল্পের টাকা হরিলুট ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

জানাগেছে, ২০০৫ সালে আবাসন প্রকল্পটিতে ৩২টি ব্যারাকে ৩২০টি ছিন্নমূল পরিবারের জন্য তৈরী হয়। আবাসন প্রকল্পের ছিন্নমূল মানুষের আত্ম কর্মসংস্থানমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বা তাদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে একটি সমিতি ২০০৫ সালে গঠিত হয়।

বিধি অনুযায়ী যাদের জমি নাই, ঘর নাই তারা প্রকল্পের ঘর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবে কিন্তু দেখা যায় এর উল্টো, এদের মধ্যে যাদের ঘর আছে আবার বাড়িও আছে তারাও এই প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ নিয়েছে।

খোদ প্রকল্পের বর্তমান সভাপতি ঝাউদিয়া চরপাড়া এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে মোঃ মহিদুল ইসলাম ও ঝাউদিয়া মোল্লা পাড়ার কালু মোল্লার ছেলে সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। এরা রীতিমত পাকা বাড়িতে বসবাস করে ও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল।

২০০৫ সাল থেকে অদ্যাবদি মোঃ মহিদুল ইসলাম ্এই প্রকল্পের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করছে, তিনি দীর্ঘদিন একই পদে থাকার সুবাদে বিভিন্ন অনিয়মের শিকড় গেড়ে বসেছেন। এক সময় এই প্রকল্পে প্রতিটি ঘরে লোকজন বসবাস করতো কিন্তু এখন নানাবিধ অনিয়মের কারণে অনেক পরিবার এই আবাসন থেকে অন্য জায়গায় চলে গেছে।

আবাসন প্রকল্পের অধীনে একটা বড় পুকুর ৩ বছরের জন্য ৬০০০০ হাজার টাকায় লীজ দেওয়া হয়েছে। ৪/৫ বিঘা জমি লীজ দেওয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে, আবার সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে ফান্ড গঠনের নামে মাসিক চাদা গ্রহন করা হয় কিন্তু এসমস্থ টাকার কোন হিসাব নেই সবই মহিদুল পকেটে ভরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও তিনি সুদে কারবারীর রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগও রয়েছে। আবাসন প্রকল্পের বারিক বলেন, মহিদুল আবাসন প্রকল্পের টাকা লুঠে পুটে খাচ্ছে। এক সময় আবাসনের ২ বিঘা জমির লীজ বাবদ ১৬০০০ হাজার টাকা মহিদুলকে দিয়েছিলাম এরপরেও আমার কাছ থেকে জমি নিয়ে বেশী টাকায় ছবেদের কাছে লীজ দিয়েছে, এসব টাকার কোন হিসাব নেই।

আবাসনে বসবাসকারী সুজন বলেন, কিছুদিন আগে আম্পান ঝড়ে আবাসন প্রকল্পের অনেক গাছ ভেংগে যায় এসমস্থ গাছ বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মহিদুল ও জাহাংগীর।

আবাসনে বসবাসকারী সবিতা রানী বলেন, মহিদুলের অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি, অন্যায়ভাবে আমার মেয়েকে নিয়ে সালিশ বসিয়ে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবী করে এক পর্যায়ে আমি গরু বিক্রি করে সে টাকা দিয়েছিলাম।

আবাসন প্রকল্পের সভাপতি মহিদুল ইসলামকে এ বিভিন্ন অনিয়ম সস্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান, কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।