শৈলকুপায় কলেজ ছাত্রকে হাতুড়ি পেটা

শৈলকুপায় কলেজ ছাত্রকে হাতুড়ি পেটা

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চুরির অভিযোগ করায় রাকিন আহম্মেদ নামের এক কলেজছাত্রকে হাতুড়ি পেটা করা হয়েছে। বর্তমানে ওই কলেজ ছাত্র ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে শৈলকুপা উপজেলার বড়বাড়ি বগুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত রাকিন ওই গ্রামের আখের মিয়ার ছেলে। সে আবাইপুর যমুনা শিকদার কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র।

ভুক্তভোগী রাকিন আহম্মেদ জানান, প্রায় ১ মাস পুর্বে একই গ্রামের মজিপ বিশ্বাসের ছেলে শিমুল বিশ্বাস গ্রামের মাঠে থাকা রাকিনদের স্যালো মেশিনের পার্টস চুরে করে বিক্রি করে। বিষয়টি জানার পর রাকিন গ্রামের মাতব্বরদের কাছে বিচার দেয়। বিচারে শিমুলকে চড়-থাপ্পড় ও চুরিকৃত মালামাল ফেরত দিতে হয়। গত বুধবার সকালে রাকিন বাড়ির সামনে একটি দোকানে বসে ছিলো। সেসময় শিমুলের ছোট ভাই মেহেদির সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্কের জেরে মেহেদি ও একই গ্রামের আশরাফুল ইসলাম নাটার ছেলে রিফাত তাকে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পারপিট করে। রাকিনের আত্মচিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এলে মেহেদি ও রিফাত পালিয়ে যায়। সেখান থেকে রাকিনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত রাকিন বলেন, মেহেদির ভাই চুরি করেছিলো সেই বিচার দিয়েছিলাম বলে আমাকে এভাবে মারধর করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে শৈলকুপায় থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, একটা ঘটনা ঘটেছে ওয়াইফাই’র পাসওয়ার্ড চাওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা। ভুক্তভোগী থানায় মামলা দিলে তা আমলে নিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।