শৈলকুপায় ব্রীজের অভাবে ৫০ গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ

ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার কুমার নদের নাগিরাট ঘাটে একটি ব্রীজের অভাবে ৫০ গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এক সময় নদী কেন্দ্রিক ব্যবসা বন্দর ছিল নাগিরাট বাজার।

নদের নাব্যতা সংকট ও একটি ব্রীজের অভাবে নাগিরাট বাজার তার যৌবন হারিয়েছে। এখানে একটি ব্রীজ এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবী। নাগিরাট বাজারে একটি ব্রীজ নির্মাণ হলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ জনগণের দূর্ভোগ কমবে বলে এলাকাবাসীরা দীর্ঘ দিন দাবী জানিয়ে আসছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নাগিরাট বাজারে বর্তমানে একটি খেয়া ঘাট রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে জনসাধারন নদী পারাপারের জন্য নৌকা থাকলেও বর্তমানে পানি কম থাকার কারনে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বর্তমানে বাঁশের সাকো দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে।

বর্ষা মৌসুমে পানিতে নদী পরিপূর্ণ হলে খেয়া নৌকা ছাড়া পার হবার কোন উপায় থাকেনা।

প্রতি দিন এই ঘাট দিয়ে স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরাসহ হাজার হাজার জনসাধারন নদী পার হয়। ইতি পূর্বে এই ঘাট দিয়ে খেয়া নৌকা পার হতে গিয়ে মৃত্যেুর ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার।

জনসাধারণের মালামাল নিয়ে পার হতে হিসশিম খেতে হয়, রীতিমত গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে ঘাটটিতে ব্রীজ না থাকায় ।এই ঘাট দিয়ে নদীর উত্তরে দামুকদিয়া, মাধবপুর, দোহা-নাগিরাট, শিতালী, দলিলপুর, আওদা, কমলনগর, বগুড়া, লাঙ্গলবাঁধ, নন্দিরগাতি, ধাওড়া, ধলহরাচন্দ্র চরধলহরা, বরিয়া, ছাঁইভাঙ্গা, কুশবাড়িয়া, পাইকেনপাড়া সহ আরো বেশকিছু গ্রাম এবং দক্ষিণে রয়েড়া,আড়-য়াকান্দি, ভান্ডারীপাড়া, বকশীপুর, শেখড়া, গোপালপুর, বাগুটিয়া, নাকোইল, ফলিয়া, রঘুনন্দনপুর, আশুরহাট, মনোহরপুর, নিত্যানন্দপুর, সাবাসপুর, হাটফাজিলপুর সহপ্রায় ৫০ গ্রামের লোকজন পার হয়।

ব্রীজ না থাকায় পণ্য পরিবহন ব্যয় বেড়েছে, ১ মণ মালামাল বাজারজাত করতে পরিবহন খরচ হয় ৫০-৬০ টাকা। অথচ ব্রীজ হলে তা ২০ টাকায় বাজারজাত করা সম্ভব বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা।

নাগিরাট গ্রামের মো: নজরুল ইসলাম বলেন, কৃষি অধ্যুষিত প্রায় ৪০-৫০ গ্রামের লোকজন চলাফেরা করে এই ঘাট দিয়ে, তাই জরুরী হয়ে পড়েছে নাগিরাট ঘাটে একটি ব্রীজ।

মাধবপুর গ্রামের ডা: মাসুদ ও তাপস বলেন, নাগিরাট বাজারে একটি ব্রীজ এখন সময়ের দাবী। এখানে একটি ব্রীজ হলে অবহেলিত ৪০-৫০ গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।

এব্যাপারে খেয়া ঘাটের দায়িত্বে থাকা মাঝি লাড্ডু কুমার জানান, তার বাপ দাদারা নৌকায় জনসাধারন কে পারাপার করত আমরা সেটা ধরে রেখেছি। তবে সরকারী ভাবে এ খেয়া ঘাট বন্দোবস্ত নেওয়া হয়না । প্রতিদিন ২/৩শ টাকা আয় হয় তাতে কোন রকম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জীবনযাপন করি।

এলাকাবাসীরা নাগিরাট বাজারের খেয়া ঘাটে একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য সরকারের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান ।