সততার প্রশংসায় ভাসছেন কুষ্টিয়ার ট্রাফিক পুলিশ

পুরোনো একটা আলমারী কেনার পর ড্রয়ারে ৭০ হাজার টাকা পেয়েও সেই টাকা প্রকৃত মালিকের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে সততা ও দায়িত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত দেখালেন কুষ্টিয়া ট্রাফিক বিভাগের সহকারী সার্জেন্ট লিটন সরকার। এই সততায় প্রশংসায় ভাসছেন লিটন। তাকে নিয়ে গর্ববোধ করছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। এই সততার স্বীকৃতি হিসেবে লিটনকে পুরস্কৃত করতে চাচ্ছেন তিনি।

কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশের সহকারী সার্জেন্ট লিটন সরকার। থাকেন শহরের কাস্টম মোড় এলাকায় পুলিশ সুপারের বাংলোর কাছে। কিছুদিন আগে প্রতিবেশী একজনের মাধ্যম আরেক প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে ৫ হাজার টাকায় একটি পুরোনো আলমারি কেনেন।

সপ্তাহখানেক আগে লিটন আলমারির মধ্যে তালাবদ্ধ একটি ড্রয়ার দেখতে পান। ড্রয়ারের চাবি যার কাছে ছিল, তিনি প্রায় দেড় বছর আগে মারা গেছেন।ড্রয়ারটি খুলতেই হলুদ একটি খাম পাওয়া যায়। তাতে লেখা, ‘আমার অবর্তমানে কান্তা/কল্লোল সমান পাবে। তাদের সন্তানদের জন্য সামান্য উপহার। তোমাদের মা।’

খামটির ভেতরে পাওয়া যায় ৭০ হাজার টাকা। প্রায় দেড় বছর আগে মারা যাওয়া ওই মায়ের রেখে যাওয়া এই টাকা পেয়ে অবাক হয়ে যান লিটন। এরপর কান্তাকে নিজ বাড়িতে ডেকে এনে টাকাগুলো বুঝিয়ে দেন।

লিটন বলেন, ‘নীরবে এ দায়িত্ব পালন করতে চেয়েছিলাম। শুধু স্মৃতি হিসেবে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে রাখি। পরে মোবাইল থেকে ছবি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল শাকিল। সেই পোস্ট ভাইরাল হলে জানাজানি হয়ে যায়।
‘আমি চাইনি এটা নিয়ে লেখালেখি হোক। টাকা পেয়েছি, যাদের টাকা তাদের ফেরত দিয়েছি। এটা আমার দায়িত্ব মনে করেছি। তাই করেছি।’

লিটন জানান, কান্তাকে বাসায় ডেকে এনে এক সপ্তাহ আগেই টাকাগুলো বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ সময় কান্তাকে খুব উচ্ছ্বসিত দেখায়। এর মধ্যে শাশুড়ি মারা যাওয়ায় গ্রামের বাড়িতে চলে যান কান্তা।
লিটন নিজের ও পুলিশ বাহিনীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তাকে পুরস্কৃত করার পরিকল্পনাও আছে আমাদের।