সভাপতি আবদার আলী, সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম

আলমডাঙ্গা হাউসপুর আনন্দধাম জামে মসজিদ কমিটির সকল দ্বন্দের অবসান ঘটিয়ে নতুন কমিটি গঠন করে দিলেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর। শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে উপস্থিতি মুসল্লিদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত হিসাব নতুন কমিটিকে বুঝিয়ে দিবে পূর্বের কমিটি।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গার হাউসপুর আনন্দধাম জামে মসজিদে ২০১৯ সালে প্রায় একই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর থেকে তাদের মধ্যে মতদ্বন্দ সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন মসজিদের আয় ও ব্যায়ের হিসাব না দেওয়ায় গত ২৭ আগস্ট শুক্রবার জুম‘আর নামাজের পর হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে সভাপতি এবং সেক্রেটারী ও ক্যাশিয়ারের কথা কাটাকাটি সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সভাপতির ভাই আবদার আলীকে সেক্রেটারী ও ক্যাশিয়ার লোকজন মসজিদের বাইরে গিয়ে হাতহাতি হয়।

এসময় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্তিতি শান্ত করে এবং সভাপতির ভাই আবদার আলী, সেক্রেটারী মনোয়ার হোসেন ও ক্যাশিয়ারের পিতা আনসার মন্ডলকে থানায় নিয়ে আসে। পরে সন্ধ্যায় গ্রামের মসজিদের মুসল্লিরা থানায় আসলে আলমডাঙ্গা থানার অপিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর ওই তিনজনকে মুসল্লিদের নিকট দিয়ে দেন এবং তিনি ৩ সেপ্টেম্বর মসজিদে গিয়ে তাদের দ্বন্দ মিটানোর আশ্বাস প্রদান করেন।

কথামতে তিনি ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জুম‘আর নামাজের আগেই মসজিদে উপস্থিত হন। তিনি প্রথমে মুসল্লিদের নিকট জিজ্ঞাসা করেন তাদের সমস্যার কথা এবং তারা কি চায়। মুসল্লিদের কথা ও তাদের সকলের মতমতের ভিত্তিতে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন করে দেন। সেই সাথে বলেন পূর্বের কমিটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন কমিটিকে সমস্ত হিসাব বুঝিয়ে দিবেন। মুসল্লিরা নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে আবদার আলী, সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ক্যাশিয়ার জাহিদুল ইসলামকে নির্বাচিত করে ২১ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি গঠন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী খালেদুর রহমান অরুন, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বাদেমাজু বাদল স্মৃতি একাডেমির প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম দিপু , ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম, সমাজসেবক আশরাফুল ইসলাম, এসআই কামরুল ইসলাম, এসআই তৌকির, ইমাম ইয়ামিন ইসলাম, সাবেক সভাপতি জামসেদ আলী, সহসভাপতি ইমারত আলী, সেক্রেটারী মনোয়ার হোসেন, ক্যাশিয়ার আব্দুল হান্নানসহ নতুন ও পুরাতন কমিটির সকল সদস্য ও গ্রামের মুসল্লিরা।