
দশর্না রেলবাজার দোকান মালিক নিবার্চন সম্পুর্ণ। সভাপতি পদে তোফজ্জেল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসেন নিবার্চিত হয়েছে।
সকাল ৮টা একটানা বিকাল ৪টা পযর্ন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ চলে। ব্যাপক উৎসাহ উদ্বিপনা আনন্দ মুখোর পরিবেশে ভোটাররা ভোট প্রদান করেন। মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ৮৭০জন। কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়ায় ভোট গ্রহণ সম্পুর্ণ হয়েছে। পুলিশি কড়া পাহারায় এবং সাংবাদিক ও স্থানীয় নেত্রীবৃন্দের উপস্থিতে ভোট প্রদান করেন ভোটাররা।
দীর্ঘ সাড়ে ৭ বছর পর দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলে এ নির্বাচনটি ছিল উৎসব মুখোর। ১৩টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩১ প্রার্থী। এরই মধ্যে সভাপতি পদে ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে সভাপতি পদে তোফাজ্জেল হোসেন চেযার মার্কায় ৩৪৯ ভোট পেয়ে নিবর্চিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তরিকুল ইসলাম জুয়েল চশমা মার্কায় ২৯৪ ভোট পেয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে আবুল বাসার মোরগ মার্কায় ৪৬৪ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আরিফুেল ইসলাম কলস মার্কায় ১৯৩ ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে আনোয়ার হোসেন প্রজাপ্রতি মার্কায় ২৫৪ ভোট পেয়ে নিবার্চিত তার নিকটতম প্রার্থী সেলিম মেহফুজ বাই সাইকেল মার্কায় ২৪০ ভোট পেয়েছে। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আবিদ হাসান রিফাত হরিণ মার্কায় সর্বোচ্চ ৬৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আনারস মার্কায় ২১২ ভোট পেয়েছেন। দপ্তর সম্পাদক পদে সোহাগ হোসেন টেবিল মার্কায় ৩৭৩ ভোট পেয়ে অপর প্রার্থী কালু মিয়া হারিকেন প্রতীকে ৩৩৩ ভোট পেয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে মিজানুর রহমান দেয়ারঘড়ি মার্কায় ৫৭৩ ভোট পেয়ে নিবর্চিত হয়েছেন। অপর প্রার্থী টিউবয়েল মার্কায় ২৬২ ভোট পেয়েছেন। নির্বাহী সদস্য পদে ১ নং ওয়ার্ডে শরীফ উদ্দীন পেয়ারা মার্কায় ৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হারেজ আলী সেলাই মেশিন মার্কায় ৫২ ভোট পেয়েছে। ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডে আব্দুল মিয়া ও শামীম মিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। ৫ নং ওয়ার্ডে মেহেদী হাসান বেলচা মার্কায় ৮৪ ভোটপেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন। অপর প্রার্থী সেলাই মেসিন মার্কায় ৩২ ভোট পেয়েছেন। ৬ নং ওয়ার্ডে আজিজুল ইসলাম পান পাতা মার্কায় ১২১ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী হানিফ খাঁ ২৩ ভোট পেয়েছে। ৭ নং ওয়ার্ডে হাবিব শিকদার জবাফুল মার্কায় ৬৬ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন। অপর প্রার্থী ২৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিলে দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিন বছর মেয়াদি পরিষদ হলেও বিগত কমিটি দায়িত্বে ছিলেন টানা ৭ বছরেরও বেশী সময়। নানা জটিলতার কারণে ঠিকঠাক সময়ে নির্বাচন হয়নি। অবশেষে চলতি বছরের ২৫ মে গঠন করা হয় উপদেষ্টা পরিষদ।
পরে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গঠন করা হয় ৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মনোনীত করা হয় অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজিজুর রহমানকে। এ কমিশনে অপর ৪ কমিশনার হলেন সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক এফএ আলমগীর, মোমিনুল ইসলাম ও মনির হোসেন। গত ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর আজিজুুর রহমান। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি গতকাল ২৩ অক্টোবর ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। খসরা তালিকা অনুযায়ি ভোটার সংখ্যা হয়েছে ৭টি ওয়ার্ডে ৭৬৯ জন। ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্তি, নাম ও ওয়ার্ড সংশোধনী। ২৮ অক্টোবর চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ২৯ থেকে ৩০ অক্টোবর প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণ। ১ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রার্থীতা বাতিলের উপর আপিল, শুনানী ও নিস্পত্তি। ২ নভেম্বর বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ৩ নভেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ৪ নভেম্বর চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ। ১৪ নভেম্বর সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতীহিনভাবে দর্শনা ডিএস সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে গোপন ব্যালোটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।
এবারের নির্বাচনে ১৩ টি পদের বিপরিতে তালিকায় রয়েছেন ৩১ জন প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে মাঠে রয়েছেন সাবেক সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন (চেয়ার)। নতুনদের মধ্যে রয়েছেন লুতফর রহমান (মই) ও তারিকুল ইসলাম জুয়েল (চশমা)। সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন পুরণো হলেও ২ জন রয়েছেন নতুন প্রার্থীই। এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন রতন (প্রজাপতি) সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান বাবু (চাঁদতারা), গত নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী সেলিম মেহমুদ লিটন (বাই সাইকেল) নতুনদের মধ্যে রিয়েল ইসলাম লিওন (ছাতা) ও নাসির উদ্দিন খান হাসু (সূর্যমুখি ফুল)। সহসভাপতি পদে আবুল বাসার (মোরড়) আরিফুল ইসলাম জয়নাল (কলস) ও রিন্টু জামান (মাছ)। সহসাধারণ সম্পাদক পদে আবিদ হাসান রিফাত (হরিণ) ও শরিফুল আলম (আনারস)। কোষাধ্যক্ষ পদে সাবেক কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন (টিউবওয়েল) ও মিজানুর রহমান (দেয়ালঘড়ি)। দপ্তর সম্পাদক পদে সাবেক দপ্তর সম্পাদক সোহাগ হোসেন (টেবিল) ও কালু মিয়া (হারিকেন)।
এছাড়া ৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে মোঃ শরীফ উদ্দীন পেয়ারা মার্কায় ৭৫ ভোট পেয়ে নিবার্চিত তার নিকটতম প্রার্থী ফরজ আলী কাঁঠাল মার্কায় ৫২ ভোট পেয়েছে। ২নং ওয়ার্ডে জাহিদুল ইসলাম ৮৮ ভোট পেয়ে নিবার্চিত। অপর প্রার্থী সেলাি মেশিন মার্কায় ৫২ ভোট পেয়েছে। ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় আব্দুল মিয়া এবং শামীম মিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৫ নং মেহেদী হাসান (বেলচা) মার্কায় ৮৪ ভোট পেয়ে নিবার্চিত তার নিকটতম প্রার্থী মোঃ ওয়াসীম ফুটবল ৩২ ভোট পেয়েছে। ৬নং ওয়ার্ডে আজিজুল ইসলাম পানপাতা মার্কায় ২১২ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছে। অপর প্রার্থী হানিফ খঁ ২৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এছাড়া ৭ নং ওয়ার্ড থেকে হাবিব শিকদার জবাফুল মার্কায় ৬৬ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী সাইদুর রহমান উড়োজাহাজ মার্কায় ২৯ ভোট পেয়েছেন।