
সাংবাদিকতায় এক অনন্য স্বীকৃতি পেলেন কালের কণ্ঠের চিফ বিজনেস এডিটর মো. মাসুদ রুমী। এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের সমস্যা, সম্ভাবনা ও নীতিগত উন্নয়ন নিয়ে ধারাবাহিক তিন পর্বের বিশেষ প্রতিবেদন করার জন্য তিনি পেয়েছেন ‘ট্যুরিজম মিডিয়া ফেলোশিপ সম্মাননা-২০২৫’।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংস্থা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) ২০১৩ সালে এই ফেলোশিপ চালু করে। এবার মোট ১০ জন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক এ সম্মাননা অর্জন করেন। উলেখযোগ্য বিষয় হলো, মাসুদ রুমীর জন্য এটি তৃতীয়বারের মতো সরকারি এই ফেলোশিপ প্রাপ্তি।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফেলোশিপ প্রাপকদের হাতে অর্থ চেক ও সনদ তুলে দেন বিটিবি’র পরিচালক ও যুগ্ম সচিব সালেহা বিনতে সিরাজ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি)-এর সভাপতি তানজিম আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লবসহ অন্যরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফেলোশিপ প্রাপ্ত সাংবাদিকরা ইতিমধ্যেই ৩০টি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব বিষয় তুলে ধরে জাতীয় আলোচনায় এনেছেন।
সাংবাদিকতায় পথচলা: মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার সন্তান মাসুদ রুমী সাংবাদিকতায় ২৬ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ব্যবসা, অর্থনীতি, বেসরকারি খাত, তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিকম, পর্যটন ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় তিনি বিশেষ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
২০০৯ সালের ১ জুলাই কালের কণ্ঠের সূচনালগ্ন থেকে দীর্ঘ ১৬ বছর তিনি এ পত্রিকায় বিজনেস এডিটর, চিফ বিজনেস এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি শফিক রেহমান সম্পাদিত দৈনিক যায়যায়দিন-এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন। এছাড়া দৈনিক নতুন ধারা ও দৈনিক আমাদের সময়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া তিনি কাজ করেছেন সাপ্তাহিক ২০০০, সায়েন্স ওয়ার্ল্ড, শিক্ষা সংবাদসহ নানা গণমাধ্যমে। টেলিভিশনে শফিক রেহমানের জনপ্রিয় আর্ট শো ‘লাল গোলাপ’-এ ও তিনি কাজ করেছেন।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: সাংবাদিকতার পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে মাসুদ রুমী পেয়েছেন একাধিক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা। যুক্তরাষ্ট্রের সিএমও কাউন্সিল কর্তৃক ব্র্যান্ড লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড (২০১২) এবং কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে সম্মুখসারির সাংবাদিক হিসেবে ‘অ্যামচেম ফ্রন্টলাইন জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ তার মধ্যে উলেখযোগ্য। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড থেকেও তিনি এর আগে দুবার ফেলোশিপ পেয়েছেন।
মাসুদ রুমী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস (সম্মান) ও প্রথম শ্রেণিতে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সাংবাদিকতা জীবনে তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন। তার সহকর্মীরা বলেন, সংবাদকে গভীরভাবে দেখা, বিশ্লেষণ করা এবং একইসঙ্গে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করাই তার শক্তি।