মেহেরপুর সদর উপজেলার মল্লিকপাড়ায় দৈনিক কালবেলার জেলা প্রতিনিধি খান মাহমুদ আল রাফির বাড়িতে প্রকাশ্য দিবালোকে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দুর্ধর্ষ চুরি ও পরোক্ষভাবে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেহেরপুর সদর থানায় ১৭ জুন ২০২৫ তারিখে দায়েরকৃত মামলাটি ১২ নম্বর মামলা হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় সাংবাদিক রাফি বাড়ির বাইরে অবস্থান করছিলেন এবং উপরের তলায় তার বৃদ্ধ মা ও ছোট ভাই ছিলেন। ১৫ জুন বেলা আনুমানিক ১২টা ৪৫ থেকে ২ টার মধ্যবর্তী সময়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় দুর্বৃত্তরা। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় তারা বিষয়টি প্রথমে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং বলে ভেবেছিলেন। পরবর্তীতে তারা দেখতে পান বাড়ির মেইন গেটের পাশে থাকা বিদ্যুৎ মিটারের তার কেটে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করা বৈদ্যুতিক তার সংযোগসহ বাড়ির প্রধান ফটোকে জুড়ে দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চুরি হয়েছে ৮ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের বিদ্যুৎ সংযোগের তার ও ৩৫ হাজার টাকা বাজার মূল্যের তিনটা ছাগল।
মামলার বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নিশ্চিত করে বলেছেন, অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য এর আগে গত ১৬ জুন সোমবার ঘটনার বিস্তারিত দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনে প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ১৫ জুন রবিবার মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ায় দৈনিক কালবেলার জেলা প্রতিনিধি খান মাহমুদ আল রাফির বাড়িতে রহস্যজনক ও প্রাণঘাতী একটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সংঘটিত এই চুরিকে নিছক চুরি নয়, বরং সাংবাদিককে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভয়ভীতির মাধ্যমে থামিয়ে দেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন সচেতন মহল।
তবে যা সবচেয়ে ভয়াবহ, তা হলো — চুরির পর বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইনের তার গেটের উপর থাকা লোহার তারকাটায় সংযুক্ত করে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এটি যেকোনো সময় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হতে পারত। এ কারণে এটি শুধু চুরি নয়, বরং একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিককে ভয় দেখানোর জন্য পরিকল্পিত মৃত্যুফাঁদ বলেই ধারণা করছেন এলাকাবাসী।