সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকের গণসংযোগ

বর্তমান সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও কর্মকাণ্ড জনসম্মুখে তুলে ধরতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন গাংনীর সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক।

স্থানীয় সরকারের সার্বিক সহযোগিতা ও সকল সেবা নিশ্চিত করতে এ গণসংযোগ ও প্রচার অভিযান শুরু করেছেন তিনি। ইউনিয়ন পরিষদের সকল সেবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কতটুকু পেয়েছেন ,কতটুকু প্রয়োজন তা জনগণকে মুখোমুখি করতে এই প্রচার অভিযান।

শুক্রবার রাতে ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড এর কয়েকটি গ্রামের পাড়া-মহল্লা ও চায়ের দোকানে গণসংযোগ করা হয়। এসময় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মতবিনিময় করেন। বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা অনেকাংশেই বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং চলমান রয়েছে।

এ সরকারের আমলে ইউনিয়নের হাটবাজার গুলোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বলেন, বিগত সরকারের আমলে রাস্তাঘাট ও হাট-বাজার গুলি ছিল খাদ্যকে ভরা। বর্তমানে গ্রামের রাস্তাগুলি হেরিং করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় এবং প্রস্তাবনায় ভাটপাড়া বাজারে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি অর্থায়নে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। যা চলতি মাসের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

মার্কেট নির্মাণ শেষ হলে এলাকার অনেক বেকার শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান হবে। মেহেরপুর জেলার একমাত্র দর্শনীয় স্থান সাহারবাটি ইউনিয়নের ভাটপাড়া জেলা প্রশাসক ইকোপার্ক ইতিমধ্যেই পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে।সেখানেও ইউনিয়ন পরিষদ এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ইজিপিপি প্রকল্পের অর্ধশত শ্রমিক কাজ করে ইকোপার্ক এর সমস্ত জায়গা দর্শনীয় করে তুলছে।

জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গ্রামের কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এমন অসংখ্য উন্নয়ন যা মানুষ উপকৃত হচ্ছে। এই উন্নয়ন গুলি জনগণের মধ্যে প্রচার ও জানান দেওয়া দরকার বলেও মনে করেন এই ইউনিয়ন প্রধান।

এছাড়াও বয়স্ক বিধবা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা সুবিধা পাচ্ছে ইউনিয়ন বাসী। ইউনিয়নের সকল সুবিধা ও অসুবিধার কথা মানুষ একসময় বলতে পারতো না। বর্তমানে মানুষ নির্ভয় বলতে পারছে এবং প্রতিবাদ করতে পারছে।আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সুবিধা এবং অসুবিধা বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রেখেছি।