সোরাতে ইমেজ জেনারেশনের বৈচিত্র্য

সোরাতে ইমেজ জেনারেশনের বৈচিত্র্য

বসে আছেন প্রাচ্যে। অথচ পাশ্চাত্য কোনো দূরত্বের অবস্থানে ভিডিও করতে চান । সেক্ষেত্রে সময় নিয়ে এত ভাবনার কিছু নেই। সফটওয়ার দিয়ে এডিট করা যায়। আর যাদের এডিট জ্ঞান নেই? তাদের জন্যও তৈরি হয়েছে সমাধান। সোরা নামের একটি সফটওয়ার এ কাজটি করে দেবে সহজেই।

সম্প্রতি মাইক্রোসফটব্যাক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান ওপেন-এআই এমন সফটওয়ারের ঘোষণাই দিয়েছে। এক মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরির সফটওয়্যারটির নামকরণ করা হয়েছে ‘সোরা’। প্রতিষ্ঠানটি তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোরা একাধিক চরিত্রের সঙ্গে জটিল দৃশ্য তৈরি করতে সক্ষম। সুনির্দিষ্ট গতিতে (মোশন) এবং নিখুঁত ও বিস্তারিতভাবে চরিত্র ও পটভূমিকে তুলে ধরতে পারে সফটওয়্যারটি। শুধু তাই নয়, সোরা স্থির চিত্রও প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে। এর মাধ্যমে একটি ভিডিও থেকে একাধিক শট তৈরি করা সম্ভব।

সোরা নামটি জাপানিজ শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন কাজ চলায় এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। তবে প্রতিক্রিয়া পেতে মডেলটির সঙ্গে চলচ্চিত্র নির্মাতা, ভিজ্যুয়াল শিল্পী ও ডিজাইনারদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

ভিডিও তৈরির সফটওয়্যারটি ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি চ্যাটবট অনুসরণ করে। ২০২২ সালের শেষে অবমুক্ত হওয়া এই সফটওয়্যারের কোডিং, ই-মেইল ও কবিতা লেখার সক্ষমতা রয়েছে।

ছবি তৈরির সফটওয়্যার ‘ইমু’-কে আরও উন্নত করতে গেল বছর উদ্যোগ নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট মেটা। এই কাজের অংশ হিসেবে মডেলটির সঙ্গে এআই ভিত্তিক দুটির ফিচার যোগ করা হয়েছে, যা লিখিত রূপ থেকে ভিডিও সম্পাদনা ও তৈরি করতে পারে। দ্রুত পরিবর্তনশীল এআই রাজ্যে মাইক্রোসফট, গুগলের অ্যালফাবেট ও অ্যামজনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা। সফটওয়্যারের গুণগত মান উন্নয়নের পাশাপাশি সোরার ভিডিও কি না তা যাচাই করতে টুলও তৈরি করছে।

সূত্র: ইত্তেফাক