স্কুলের জমিতে মসজিদ কমিটি নিয়ে তদন্ত করলেন উপ-পরিচালক

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা খুলনা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক এ এস এম আব্দুল খালেক মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়টি সরেজমিনে তদন্ত করেছেন।

রবিবার (৭ আগষ্ট) দুপুরের দিকে সরেজমিনে তদন্ত ও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মসজিদের কথিত কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বলেন।

মেহেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এসময় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালেহ উদ্দিন আবলু, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ সভাপতি সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, ইয়ানুসসহ মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের জমিতে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে বিদ্যালয়ের মসজিদ সংলগ্ন জমি দখল করেছে।

বিদ্যালয়ের ১০ তলা ভবনের জন্য নির্ধারিত স্থান ও প্রধান শিক্ষকের ক্যাম্পাসের এলাকাও দখল করে টিন দিয়ে ঘিরে নিয়েছে।

শুধু ঘিরে নিয়েই ক্ষান্ত হননি ওই চক্রটি, দখল করে ঘিরে নেয়া সেই জমিতে অবৈধভাবে মাটি ভরাট করে মসজিদের সীমানা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ায় প্রধান শিক্ষক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা খোরশেদা আলম অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর দখল হওয়া জায়গা উদ্ধারের জন্য আবেদন জানিয়ে একটি পত্র পাঠিয়েছেন।

সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা খুলনা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক এ এস এম আব্দুল খালেক সরেজমিনে তদন্ত করেন।

জানা গেছে, মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমিতে মসজিদটি স্থাপন হলেও সেখানে প্রধান শিক্ষককে কমিটির নামে মাত্র সভাপতি রেখে সকল ধরণের কর্মকান্ড পরিচালনা করেন কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যরা।

এছাড়া ওই কমিটির সদস্যরা কর্তপক্ষকে না জানিয়ে মসজিদের টয়লেট নির্মাণ করে জোর করে অতিরিক্ত জায়গা দখল করেছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মসজিদ কমিটির ওই সকল সদস্যরা তদন্তকারীর সামনে প্রধান শিক্ষক যখন বলছিলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে ইট পর্যন্ত পাহারা দিয়ে থাকি।

এসময় এসএম আকিব নামের এক যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষককে বলেন “আপনি তো স্কুলে থাকেন না, ইট পাহারা দিলেন কখন? তদন্ত কমিটির প্রধানের সামনেই প্রধান শিক্ষককে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে স্কুলের গাছ, কাঠসহ অন্যান্য উপকরণের খোঁজ নেন তারা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদা আলম মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানান, উপপরিচালক স্যার তদন্ত করেছেন। তবে কোন সিদ্ধান্ত জানাননি। সিদ্ধান্ত পরবর্তিতে জানাবেন।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের মসজিদ কমিটির নিয়ে বিড়ম্বনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ, সরকারি স্কুলের মসজিদের স্টিয়ারিং প্রভাবশালীদের হাতে” শিরোনামে গত ২৫ জুন মেহেরপুর প্রতিদিনে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর মসজিদ কমিটির ওই সদস্যরা প্রধান শিক্ষককে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকিও দেন।

এ সংক্রান্ত সংবাদ পড়ুন সরকারি স্কুলের মসজিদের স্টিয়ারিং প্রভাবশালীদের হাতে