
দেশের বৃহত্তম রিটেইল চেইনশপ স্বপ্ন দেশে প্রথমবারের মতো সেলফ-চেকআউট কাউন্টার চালু করেছে। প্রথাগত কেনাকাটার ধারায় এটি এক ব্যতিক্রমী এবং গ্রাহকবান্ধব উদ্ভাবনী পদক্ষেপ।
স্বপ্নের টিমের তৈরি অ্যাপ্লিকেশন এবং তরুণ প্রযুক্তি দলের উদ্যোগে ডিজাইন করা এই সিস্টেমের কারিগরি সহায়তায় ছিল মাস্টারকার্ড, সানমি এবং ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি (ইবিএল)। গুলশান-১ আউটলেটে গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় সেলফ-চেকআউট সেবার উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বপ্নের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাব্বির হাসান নাসির, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, স্বপ্নের প্রোডাক্ট ম্যানেজার রুকাইয়া রাফা, সানমির কান্ট্রি হেড সানিউল জাদিদ, ইবিএলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রিটেইল এবং এসএমই ব্যাংকিং প্রধান এম. খোরশেদ আনোয়ার, সফটওয়্যার ডেভেলপার মিরাজ অনিকসহ অনেকে।
নতুন এই সেলফ-চেকআউট কাউন্টারের মাধ্যমে ক্রেতারা এখন নিজেরাই পণ্য স্ক্যান করে ভিসা ও মাস্টারকার্ড ব্যবহার করে সরাসরি পেমেন্ট করতে পারবেন ক্যাশ কাউন্টারে লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হবে না। স্বপ্নের তরুণ প্রযুক্তি দল মূল সিস্টেমটি তৈরি করেছে, আর মাস্টারকার্ড, সানমি ও ইবিএল যৌথভাবে এই উদ্যোগকে সফল করতে সহায়তা করেছে।
গুলশানের পর পর্যায়ক্রমে সারাদেশের স্বপ্ন আউটলেটে এই সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সেলফ-চেকআউট সেবা উদ্বোধন উপলক্ষে মাস্টারকার্ড বিশেষ অফার ঘোষণা করেছে। গুলশান-১ আউটলেটে মাস্টারকার্ড দিয়ে ১,০০০ টাকা বা তার বেশি কেনাকাটায় গ্রাহকরা উপহার হিসেবে পাবেন পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ।
অনুষ্ঠানে স্বপ্নের প্রোডাক্ট ম্যানেজার রুকাইয়া রাফা বলেন, “বাংলাদেশের রিটেইলে প্রথম সেলফ-চেকআউট সিস্টেম তৈরির দলের অংশ হতে পারাটা গর্বের বিষয়। এই প্রকল্প প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের তরুণ প্রযুক্তিবিদরা উন্নত বিশ্বের সমমানের উদ্ভাবনে সক্ষম।”
স্বপ্নের এমডি সাব্বির হাসান নাসির বলেন, “স্বপ্ন সবসময়ই বাংলাদেশে রিটেইল খাতে নতুনত্ব আনার অগ্রদূত। সেলফ-চেকআউট সেবা চালু করে আমরা গ্রাহকদের জন্য বিশ্বমানের সুবিধা নিশ্চিত করার পথে আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করলাম।”
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, “স্বপ্নকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের গ্রোসারি রিটেইল খাতে প্রথম সেলফ-চেকআউট সেবা চালু করতে পেরে আমরা গর্বিত। এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করবে।”
ইবিএলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. খোরশেদ আনোয়ার বলেন, “ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে ইবিএল সবসময় অগ্রগামী। স্বপ্নের এই উদ্ভাবনী উদ্যোগের প্রযুক্তিগত ভিত্তি দিতে পেরে আমরা গর্বিত।”
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের ইউএস কমার্শিয়াল সার্ভিসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর পল ফ্রস্ট।