স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে চাই -ডা.নাজমুল হক সাগর

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে চাই -ডা.নাজমুল হক সাগর

‘সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পাওয়া একটি গুরুদায়িত্ব, যেটা দলের হাই কমান্ড থেকে আমাকে দেয়া হয়েছে। এজন্য আমি দলীয় সভানেত্রী ও দলের নীতি নির্ধারকদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমি প্রথমেই দল-মত নির্বিশেষে গাংনীর আপামর জনতা কে সাথে নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে চাই। এরপর দলের পক্ষ থেকে আমাকে জনপ্রতিনিধিত্ব করার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেটাকে আমি দায়িত্ব হিসাবে নিয়ে আমি আমার সংসদীয় আসনে বেকারত্ব দূর করতে কাজ করতে চাই। আমার সংসদীয় আসন গাংনীতে শিক্ষিত বেকারের হার অনেক বেশি। শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান ও এ লক্ষ্যে তাদের স্কিল ডেভেলপ করার উদ্যোগ নেওয়াটাই হবে আমার প্রথম কাজ। এছাড়াও আমি যেহেতু একজন চিকিৎসক সেজন্য আমার সংসদীয় আসন গাংনীসহ সমগ্র মেহেরপুর জেলার স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন নিয়েও কাজ করতে চাই। অবকাঠামোগত উন্নয়ন মেহেরপুরে যথেষ্ট হয়েছে।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-২ (গাংনী) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে যেয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনকে এ কথা বলেন ডা: এ এস এম নাজমুল হক সাগর।

ডাঃ এ. এস. এম. নাজমুল হক মেহেরপুর জেলার গাংনী মোহাম্মদপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর পিতা মোহাম্মদ নূরুল হক সামরিক অফিসার ও সফল প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি গাংনী থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সভাপতি, প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, গণপরিষদ সদস্য ও পরবর্তিতে সংসদ সদস্য ছিলেন।

তার মেজ বোন সেলিনা পারভীন ২০১৪ সালে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ছিলেন।

ডাঃ এ. এস. এম. নাজমুল হক শিক্ষা জীবনে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২-৯৩ সালে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৪-৯৫ সালে সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি হিসেবে ১৯৯৫-৯৭ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

সরকারি চাকরিজীবি হিসাবে তিনি ২৩ তম বিসিএস এর স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগদান করেন। তবে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে ২০২০ সালে (চাকুরির মেয়াদ ছিল ২০৩২ সাল পর্যন্ত) সরকারি চাকুরী থেকে স্বেচ্ছা অবসর নেন।

ডঃ নাজমুল হক সাগর আরো বলেন,’ছোট বেলা থেকে রাজনৈতিক পরিমন্ডলে বেড়ে ওঠায় সকল শ্রেনীর মানুষের সাথে আমার আত্মিক সম্পর্ক আছে। তৃণমূল কর্মীদের সাথে আছে বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকার ফলে সকল শ্রেণীর মানুষ নির্দ্বিধায় আমার সাথে সকল বিষয়ে বিশ্বাসের সাথে আলোচনা করতে পারেন। আমার প্রত্যাশা

আমিও আমার বাবার মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করে দলীয় সভানেত্রীকে মেহেরপুর-২ সংসদীয় আসনটি জন প্রতিনিধি হয়ে উপহার দিতে পারবো।