স্মরণকালের কম আখ মাড়াইয়ের রেকর্ড কেরুর

দর্শনা কের“জ চিনিকলের আখেরী হুইসেল বাজিয়ে ২০২২-২০২৩ আখ মাড়াই মৌসুম শেষ করল ঐত্যিহ্যবাহী প্রতিষ্টান কেরুজ চিনিকল।

কেরু সুত্রে জানা যায় গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত ভোরের দিকে এ ২০২২-২০২৩ আখ মাড়াই মৌসুম শেষ হবে। এবার ৮৪ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে কম আখ মাড়াইয়ে ঐত্যিহ্যবাহী কেরুজ চিনিকল। শুধু আখ মাড়াইয়ের ক্ষেত্রেই নয়, মাড়াই দিবস থেকে শুর“ করে চিনি আহরণের হার ও উৎপাদন কমের ক্ষেত্রেও এবার রেকর্ড ভেঙ্গেছে।

 ২০২১-২২ মরসুমে ৭০কোটি টাকা লোকসান গুনলেও এবারের লোকসানের বোঝা কমে ৬০ কোটিও পের“তে পারে বলে জানিয়েছে মাহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। ২০২২-২৩ চলতি আখ মাড়াই মরসুম আজ শেষ হচ্ছে। ২০২২-২৩ আখ মাড়াই মৌসুমে ৫৩ কার্য দিবসে ৬১ হাজার ৫শ মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে ৩ হাজার ৮৪০ মেট্রিকটন চিনি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নিয়ে মিল উদ্ধোধন করলেও তা তলানিতে নেমে ৪৩ কার্য দিবসে ৪৬ হাজার ৬০ মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন করেছে ২হাজর ২১৯ মেট্রিকটন। যা চিনি আহরণের হার ৫.০৫ নিম্নমুখী হওয়ায় উৎপাদনে থাকছে বিশাল ঘাটতি।

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর মাসে বিকালে ৭০ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ২০২২-২৩ আখ মাড়াই মরসুমের শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনিশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু। কের“জ চিনিকল কর্তৃপক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি এ মরসুমে সর্বমোট ৪ হাজার ২৩০একর জমির আখ মাড়াই করা হয়। যার মধ্যে কের“জ নিজস্ব জমির পরিমান ছিলো মাত্র ১হাজার ৫০ একর ও কৃষকের জমিতে আখ ছিলো ৩ হাজার ১৮০ একর। লক্ষমাত্রা অনুযায়ি মাত্র ৪৩ দিনে ৪৬ হাজার ৬০ মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন নির্ধারন করা হয় সাড়ে ২ হাজার ২শ ১৯ মেট্রিকটন। চিনি আহরণের গড় হার নির্ধারণ করা ছিলো ৬.০২দশমিক শূন্য।এবারের চিনি আহরনের হার কমে ৫.০৫ দাড়িয়েছে।

কের“জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন জানান, আগামি মরসুমে চিনি কারখানাকে লাভজনক অবস্থায় নেয়া সম্ভব না হলেও বড়ধরণের লোকসান কমাতে প্রয়োজনীয় সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। আখচাষে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে কৃষকদের। কৃষকদের সকল ধরণের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। কৃষদের সাথে সভা-সমাবেশ, উঠান বৈঠক চলমান রয়েছে।

তিনি এলাকার আখচাষিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বেশী বেশী আখচাষ করে অধিক মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি আপনাদের মূলবান সম্পদ কের“জ চিনিকলটি রক্ষা কর“ন। তিনি আরও বলেন কৃষি প্রধান বাংলাদেশ অর্থনীতির মৃল ভিত্তি হলো কৃষি। চিনি শিল্প ছিলো কৃষি ভিত্তিক শিল্প তাই এ মিলটির জন্য যা যা করার দরকার আমি সব রকব চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে গতবারের তুলনায় এবার আখের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। মিল গেটে ১৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮০ টাকা। এছাড়া আখক্রয় কেন্দ্রগুলোতে ১৩৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৬ টাকা।

দর্শনা কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন জানান, ‘আগামী মৌসুমে চিনি কারখানাকে লাভজনক অবস্থায় নেয়া সম্ভব নাহলেও বড়ধরণের লোকসান কমাতে প্রয়োজনীয় সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আখচাষে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে কৃষকদের। আখচাষীদের সকল ধরণের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।