ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রবাসী ভাতিজার ক্রয়কৃত জমির ১৬ টি মেহেগুনি গাছ, ৫ টি কাঠাল গাছ, ৩টি আম গাছ, ২ টি পেপে গাছসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) এবিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন প্রবাসীর স্ত্রী মোছাঃ বিলকিস খাতুন। বিলকিস খাতুন লিখিত অভিযোগে জানান, আমার স্বামী মোঃ আব্দুল মান্নান, উপজেলার বৈঠাপাড়া, গ্রামের মোঃ মোতালেব হোসেনের ছেলে তিনি দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া প্রবাসী।
মেয়ের লেখাপড়ার কারণে আমি বর্তমানে ঝিনাইদহে থাকি। এই সূযোগে গত ৩অক্টোবর সকালে আমার চাচা শ্বশুর মোঃ জালাল উদ্দিন (৬৩), মোঃ আনারুল ইসলাম পিতা-মৃত শমসের মন্ডল, আমার চাচাত দেবর মোঃ চয়ন হোসেন (২০), পিতা-আনারুল ইসলাম ও প্রতিবেশি মোঃ নজির মন্ডল (৬০) পিতা-অজ্ঞাত, এবং অজ্ঞাত ৩/৪ জন মিলে হরিণাকুণ্ডু থানাধীন ২৬ নং বৈঠাপাড়া মৌজায় সাবেক ৩১৫/হাল ৩২৩ দাগের ৬০ শতকের মধ্যে ১০ শতক সাবেক ৩১৪ দাগের ২ শতক সর্বমোট ১২ শতক ক্রয়কৃত এবং দখলকৃত জমিতে লাগানো ১৬টি মেহগনি গাছ, ৫টি কাঠাল গাছ, ৩টি আম গাছ, ২টি পেপে গাছ এবং শতাধিক কচুগাছ কেটে নিয়ে গেছে এবং আবাদী ফসল নষ্ঠ করে দিয়েছে যার ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ১লক্ষ ৫০হাজার। এই কথা জিজ্ঞেস করতে গেলে তারা বাদিকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। ফলে বাদি ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগীতায় থানায় গিয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।
তিনি লিখিত আরও অভিযোগে আরও জানান বিবাদীগন আমাদের ক্রয় কৃত সম্পত্তি জোর করে দখল করে নিতে চাই। আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে বিবাদীগন বিভিন্ন ধরনের খুন জখমের হুমিক প্রদান করে। প্রভাবশালী কিছু ভাড়াটিয়া লোকজ ও বিবাদীরা উক্ত জমি জোর পূর্বক দখল করার পায়তারা করিতেছে। স্থানীয় ভাবে কয়েক বার সালিসি বৈঠাক হয় উক্ত বৈঠকে বিবাদীরা তাদের কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারে নাই। আমাদের জমিতে ভোগদখল করিতে গেলে রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষের আশু সম্ভবনা থাকায় ভয়ে আমরা মুখ খুলতে সাহস পায়না। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত করিয়া বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এবিষয়ে ২নং বিবাদী মোঃ আনারুল ইসলাম কাসেমের কাছে জানতে চাইলে তিনি ওখানে ছিলেন না বলে জানান এবং বলেন আমার বড় ভাই জালাল এবং তার ছেলেরা এই গাছ কেটেছে, ওদের সাথে জমি নিয়ে ঝামেলা আছে শুনেছি।
এবিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, আমি প্রবাসীর স্ত্রীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের বিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।