
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে চুরির সন্দেহে এক যুবককে নির্যাতনের পর নাকে খত দিয়ে গ্রাম ঘোরানোর অভিযোগ উঠেছে সিরাজুল ইসলাম নামের বিএনপি এক স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে।
গত শনিবার দুপুরে ভায়না ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কালিশংকরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই যুবকের নাম রসুল মিয়া (৩০) সে একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক এনামুল হকের চুরির ঘটনা ঘটে । পরদিন বেলা তিনটার দিকে সালিশের মাধ্যমে ওই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দুই গ্রামের মাতবরের সামনে তাকে চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করেণ কয়েকজন ব্যক্তি।
এই ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ ব্যাপক ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায় যুবককে মাটিতে শুইয়ে নাক মাটির সাথে ঘষতে ঘষতে মাঠে ঘুরাচ্ছে। সেই দৃশ্য দেখছেন স্থানীয় গ্রামবাসী।সেখানে আরও দেখা যায় এই নাকে খত শেষ হলে তাকে সোজা করে উঠিয়ে তিনবার কানধরে উঠবস করাচ্ছে। এরপর তাকে মারতে মারতে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। এসময় ওই কথিত নেতা বলেন এই বিচারের বিরুদ্ধে কেউ তথা বললে তাকেউ শাস্তি দেওয়া হবে।
যার নির্দেশে নাকে খত দেওয়া হয়েছে তিনি ভায়না ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। এব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে বিএনপির এই নেতা বলেন পুলিশে দিলে ওর অনেক ক্ষতি হয়ে যেত, তাছাড়া স্থানীয়দে কাছ থেকে ওকে বাচাতে আমি তাকে এই শাস্তি দিয়েছি। এব্যাপাওে হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, আইন বহির্ভূত এসব শালিশ করার এখতিয়ার কারও নেই। নির্যাতিক ওই যুবক বা তার পরিবারের কেউ অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।