হরিণাকুণ্ডুতে স্কুলের আঙ্গিনায় জরাজীর্ণ শহীদ মিনার

যদিও সরকারি আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক। কয়েকদিন পরেই ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন।

যদিও মরণব্যাধী করোনা ভাইরাসের কারনে এদিন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে আসতে পারবে কিনা তা জানা নেই।

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ৪ নং দৌলতপুর ইউনিয়নের দখলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে এমনি একটি জরাজীর্র্ণ অবহেলিত হয়ে পড়ে থাকা শহীদ মিনার। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে প্রায় ২ শতাধিক ছাত্রী-ছাত্রী পড়াশোনা করে।

এ বিষয়ে ঐ বিদ্যালয় পড়ুয়া বেশ কিছু শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলে আগে আমাদের যখন স্কুলে অনুষ্ঠান হতো তখন আমাদের খুব অসুবিধা হতো। আমাদের স্কুলের শহীদ মিনার ভেঙ্গে গেছে, তাই ফুল দিতে চরম অসুবিধা হতো। শহীদ মিনার ভাঙ্গাচুরার কারণে ২১ ফেব্রুয়ারি ভালোভাবে পালন করতে পারতাম না।

ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছিলেন, যাদের জন্য আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি, যাদের জন্য আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি সেই শহীদের জন্য আমরা গর্ব করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের স্কুলের শহীদ মিনার কয়েক বছর ধরেই ভাঙ্গাচুরা অবস্থায় অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। তাই আমাদের স্কুলের শহীদ মিনারটি অচিরেই সুন্দর করে তৈরির দাবি জানাচ্ছি।

এবিষয়ে দখলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোকাররম হোসেন বলেন, যেহেতু আমাদের স্কুলের আশে পাশে আর কোন বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। দীর্ঘ দিন আমাদের স্কুলের শহীদ মিনারটি এভাবে আংশিক ভেঙ্গেচুর অবস্থায় পড়ে আছে ২১ ফেব্রুয়ারির দিন আমাদের ছোট্ট ছোট্ট কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন পড়তে হয় চরম ঝুকিতে। চলতি মাসেই শহীদ মিনারটি সুন্দর করে সংস্কার করে উপযুক্ত করে গড়ে তোলার দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, যেহেতু করোনা মহামারীর কারণে স্কুলের অনেক উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হয়েছে। তাছাড়া এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে এ ধরনের কোনও লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষ দেয় নি। তবে এখন যেহেতু জেনেছি আমাদের সামনে ১১ তারিখে মাসিক মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে সুরাহা করার চেষ্টা করবো।